বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, বিলটি অর্থনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রকে আর্থিক সাহায্য করতে হলে ভারতের অর্থভাণ্ডার থেকেই তা খরচ করতে হবে। ফলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন একান্ত প্রয়োজন। তাই সংবিধানের ১১৭(৩) ধারা মোতাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতির মত জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অধীরবাবুর মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমাদেরও অধিকার আছে। তাই কোনও সরকারের কথা ভেবে নয়, রাজ্যের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই ভিক্ষে না চেয়ে আইনে বেঁধে বিশেষ আর্থিক সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছি।
অন্যদিকে, বাংলায় আটকে থাকা রেলের প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে আজ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের ১২ জন এমপি। কয়লার জন্য রেলের বাড়তি রেক, আজিমগঞ্জ থেকে ফরাক্কা লাইনের বৈদ্যুতিকরণ, নলহাটি বাইপাস লাইন, সাগরদিঘি, বক্রেশ্বর, কোলাঘাটের তাপবিদ্যুতের জন্য রেলের রেকের মতো মূলত পাঁচটি বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করার পাশাপাশি বাংলার প্রতি বঞ্চনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। ফলে এতদিন সাধারণত কেরল বা অন্য কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে যা দেখা যেত, এবার বাংলার এমপিদের মধ্যেও সেই আচরণই দেখা যাচ্ছে।
ইস্যু যখন রাজ্যের উন্নয়ন, তখন রাজনীতিকে সরিয়ে রাখার পথ নিচ্ছেন যুযুধান রাজনৈতিক দলের এমপিরা। রাজনৈতিকভাবে সাপে নেউলে সম্পর্ক হলেও রাজ্যের ইস্যুতে একদিকে যখন অধীররঞ্জন চৌধুরি বিল এনে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা আদায়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আইনে বাঁধতে চাইছেন, অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই বজায় রেখেও তৃণমূল আরও বেশি করে রাজ্যের মানুষের পাশে থাকতে চাইছে।
বামেদের ছেড়ে যাওয়া ঋণের বোঝা সামাল দিতে কখনও সুদ মকুব, কখনও তিন বছরের ছাড়, কখনও সময় বাড়ানোর জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেন্দ্রের কাছে লাগাতার দরবার করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তো বটেই, রাজ্যের শাসক দলের এমপিদের প্রতিনিধিরাও ইউপিএ সরকারের কাছে দরবার করেছেন। বিষয়টি তোলা হয়েছে সংসদেও। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিআরজিএফ অর্থাৎ ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড ব্যতিরেকে তেমন কোনও বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়নি বলেই তৃণমূলের অভিযোগ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে উদ্যোগ নিচ্ছেন তার সঙ্গে কোনও বিরোধ না রেখেই এবার উদ্যোগী হলেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। লোকসভায় একটি বিল এনে কেন্দ্রকে আর্থিক সাহায্য করার ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে বাঁধতে চাইছেন তিনি। সেই মতো একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল আনতে চাইছেন। কিন্তু বিলটি আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত বলেই তা লোকসভার সচিবালয় থেকে প্রথমে অর্থমন্ত্রকে পাঠানো হয়। যা দেখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভার সচিবালয়কে বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে বলেছেন।