বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পিন্টু পাড়ুই বলেন, আমরা গত বছর ২ এপ্রিল সংগঠন হিসেবেই দলে যোগ দিয়েছি। তখনও বিজেপির এত রমরমা ছিল না। পঞ্চায়েত ভোট, লোকসভা ভোটে আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা আমরা জানপ্রাণ দিয়ে পালন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু রেজিস্টার্ড সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও আমরা শিক্ষা সেলের সঙ্গে থাকব কেন? আমরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছি। সেলের নেতা দীপল বিশ্বাস নিজে একজন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক। তিনি কেন প্রাথমিক শিক্ষকদের মাথায় বসবেন? তিনি তো এই সমস্যাগুলিই জানেন না। আমরা দলের অনুশাসন মেনেই যা করার করব। আমাদের কাছে কোনও ব্যক্তি আগে নয়, দল আগে। পিন্টুবাবুর দাবি, তাঁরা ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসার জন্য সেনাবাহিনীর অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন। পুলিসের অনুমতি না পেলেও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বিশাল মিছিল করে গিয়ে অনশনে বসবেন। কোনও বাধা পেলে তা প্রতিরোধ করার চেষ্টাও হবে। পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সবার চাকরি এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় হারে বেতনের দাবিতে এই অনশন হবে।
এদিকে, পিন্টু পাড়ুইদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন দীপল বিশ্বাস। তিনি বলেন, দলের ওয়েবসাইটে একমাত্র শিক্ষা সেলের কথাই উল্লেখ করা রয়েছে। পিন্টু পাড়ুই যতই দাবি করুন, সংগঠন হিসেবে তাঁরা কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেননি। ব্যক্তি হিসেবেই দিয়েছেন। নির্বাচন তো দূরের কথা, দলের কোনও কর্মসূচিতেই তাঁকে লোকবল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখিনি। তাঁদের লোকবল কতটা রয়েছে, সেটাও সন্দেহ। আর তিনি যে বলছেন, তিনি বিজেপিতে রয়েছেন, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ, ১৫ জুলাইয়ের কর্মসূচির জন্য তিনি কার কার কাছে গিয়েছেন, খোঁজ নিন। সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান সহ অন্যান্য নেতাদেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বিজেপিতেই থাকলে অন্য দলের নেতাদের কাছে যাবেন কেন?
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে যে ধরনের সমস্যা ছিল, বিজেপিতে তাই শুরু হয়েছে। তৃণমূলের স্বীকৃত মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল দলেরই শিক্ষা সেল। এখন ওই দু’টি সংগঠনের পাশাপাশি শিক্ষা সেলও পৃথকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাঝে তৃণমূল থেকে সেলকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার ভাবনাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু সংগঠনগুলিকে এক করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ শুরু হয়নি। আর বিজেপিতে দলের তরফে শিক্ষা সেলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন ডাঃ সুভাষ সরকার। কিন্তু বার বার ফোন করেও তাঁকে ব্যস্ত পাওয়া গিয়েছে।