বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১১ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৫২৩টি। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তা বেড়ে হয় ৭০৮। ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় অভিযোগ জমা পড়ে ৯৮৫টি। ২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় অনেক বেশি অভিযোগ পড়ে। বেড়ে দাঁড়ায় ২০৬৫। ৬ মে পঞ্চম দফায় অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৬০। ১২ মে ষষ্ঠ দফায় তা কিছু কমে দাঁড়ায় ২৪৫০। আর রবিবার সপ্তম তথা শেষ দফায় অভিযোগের সংখ্যা সব দফাকে ছাপিয়ে যায়। বেড়ে হয় ৩৪৯৭। সেই সব অভিযোগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিন জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনে এত অভিযোগ জমা পড়ছে দেখে ভোটের অবস্থা খতিয়ে দেখতে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ ও কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান। তাঁরা আট-ন’টি বুথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন তাঁরা। কয়েক ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিমি গাড়িতে ঘুরে বেড়ান দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। তাঁরা বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করেন।
অন্য দিনগুলির মতো এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বুথের গোলমালের অভিযোগ তুলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দরবার করা হয়। প্রথমে আসেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। তারপরে আসে বিজেপি’র প্রতিনিধিদল। সেই প্রতিনিধিদলে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, শিশির বাজোরিয়া ও অনুপম ঘোষ। শেষে আসেন সিপিএমের নেতা রবীন দেব। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিধানসভা এলাকায় মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছে। প্রার্থীরা ছাড় পায়নি। আর মদন মিত্রকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনে ওই অভিযোগ করা হয়েছে।