বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার রাজ্যে আসেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হতেই তিনি চলে আসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। সেই থেকে সারাদিন কাটাচ্ছেন সিইও দপ্তরে। তিনিই যেন ‘অলিখিত’ সিইও হয়ে উঠেছেন। সেখান থেকে জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলছেন। কথা বলছেন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও। শনিবার তাঁর জন্য তৈরি হওয়া ছ’তলার চেম্বারে বসে প্রথম দফার ভোটের স্ক্রুটিনি প্রক্রিয়া যাচাই করেন। জেলাশাসকদের কাছ থেকে আসা কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি, মাইক্রো অবজারভারদের নোটবুক চেয়ে পাঠান। প্রথম দফার ভোটে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৮১ নম্বর বুথে পুনরায় ভোটের সুপারিশ করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।
তবে বিশেষ পর্যবেক্ষক এদিন জানিয়েছেন, প্রথম দফার স্ক্রুটিনির পর মোটের উপর সন্তুষ্ট। একটি বুথে পুনরায় ভোটের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটের কয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন দ্বিতীয় দফার ভোটের স্ক্রুটিনি শেষ হয়। ওই স্ক্রুটিনির কাজ যাচাই করে সিইও দপ্তর থেকেই তৃতীয় দফার জন্য ভিডিও কনফারেন্স করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেখানকার ভোট প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করতে হবে।
এর পরেই সিইও আরিজ আফতাবের চেম্বারে বসে তাঁর সামনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। তিনি বলেন, প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় গোলমাল অনেক কম। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। যা অন্য কোনও রাজ্যে হয় না। সারা দেশের ভোটে কী করে সম্ভব এত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া? এখানকার রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আগামী লোকসভা ভোটে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে আশা রাখি।
তাঁর এই মন্তব্যকে বিরোধীরা স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তৃণমূলের তরফে আপত্তি জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমাদের এখানেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগানোর মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, বিরোধী দল ন্যাকামো করছে, নাটক করছে। আর তা মেনে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন। ওরা যাই করুক, মানুষ জানে, তৃণমূলকেই সমর্থন করবে। ২৩ মে যখন ইভিএম খোলা হবে, তখন তৃণমূলকেই মানুষ আর্শীবাদ করবে।