বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ৩৬ ঘণ্টার কোর্স করতে হবে পড়ুয়াদের। রোজ দু’ঘণ্টার ক্লাস এবং শনিবার থাকবে চার ঘণ্টা। তবে এই ক্লাস প্রতিদিন হবে না। মাঝে মাঝে বিরতি থাকবে। ক্লাসের মধ্যেই প্রার্থীদের মূল্যায়নও হবে। তাঁরা শিখতে পারছেন কি না, তাও দেখা হবে। এই কোর্স অবশ্য স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের জন্যই প্রযোজ্য। কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ কোর্স পড়ুয়াদের জন্য বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। প্রশিক্ষণের শেষে একটি সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে। এখন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। ইংরেজি, বাংলা, ইতিহাস, সংস্কৃত এবং দর্শন। সব মিলিয়ে পড়ুয়া সংখ্যা ৯৭।
একটি বেসরকারি এজেন্সিকে এই কাজে নিযুক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রতিনিধিরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এই ক্লাস নেবেন। তবে এই কোর্স করতে পড়ুয়াদের কোনও টাকা দিতে হবে না। উপাচার্য বলেন, আমরা কোনও বাড়তি আর্থিক বোঝা ছাত্রছাত্রীদের উপর চাপাতে চাই না। তাই এই কোর্সের পুরো অর্থই বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। মূলত কী কী শেখানো হবে? এক কর্তা বলেন, চাকরির জন্য যে কারিকুলাম ভাইটে (সিভি) দেওয়া হয়, তা কী করে লিখতে হয়, কীভাবে তা আকর্ষণীয় করা যায়, তার প্রাথমিক পাঠ দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, ইন্টারভিউয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর কিংবা দলগত আলোচনায় কীভাবে একজন প্রার্থী নিজেকে তৈরি করবেন, তাও জানানো হবে।
সাধারণত, বিজ্ঞান বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদেরকেই এমনভাবে প্রস্তুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় নানা পদক্ষেপ করে থাকে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের জন্য যেমন ইংরেজি বলার উপর বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল। পাশাপাশি বহু ইঞ্জিনিয়ারের জন্যও ছিল একাধিক প্রশিক্ষণ পর্ব। কিন্তু কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য এমন উদ্যোগ কিছুটা অভিনব বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। তবে এই প্রক্রিয়া ছাত্রছাত্রীদের কাছে বেশ উপকারী হবে বলে মত বিশ্ববিদ্যালয়ের। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক সেল্ফ ফিনান্স কোর্স শুরু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, জুন মাস থেকেই একে একে কোর্স শুরু হয়ে যাবে। এর মধ্যে অন্যতম সংস্কৃত ভাষার উপরই সার্টিফিকেট কোর্স। কর্তৃপক্ষের মতে, এই কোর্স যে কেউ করতে পারবে। তবে মূলত শিক্ষকদের মাথায় রেখেই এই কোর্স শুরু করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবদ্বীপে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তা উদ্বোধন করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে এই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ২৩ মে’র পরই দিন ঘোষণা করা হবে।