বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রায় ঘোষণার পর ওই কিশোরী মা এবং দিদি বলেন, এই রায়ে আমরা খুশি। এর থেকেও যদি কড়া সাজা দেওয়া হতো, তাহলে আরও ভালো লাগত। তদন্তকারী অফিসার বলেন, ওই কিশোরীর উপর একটি বড় ঝড় বয়ে গিয়েছে। তারপরেও স্রেফ মনের জোরে সে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা পুলিসের পক্ষ থেকে তার সাফল্য কামনা করছি। যদিও বাবা মহারাজ হালদারের আইনজীবীদের বক্তব্য, আমাদের মক্কেল নির্দোষ। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। এবিষয়ে আদালতের মন্তব্য, অভিযোগের যথেষ্ট সারবত্তা ছিল। সব দিক বিবেচনা করেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
আদালত ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ অক্টোবর উত্তর কলকাতার টালা থানা এলাকায় এই মর্মে এফআইআর দায়ের করেন কিশোরীর মা। এরপরই পুলিস অভিযুক্ত মহারাজকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের করে। একাধিকবার তার জামিনের আবেদন বাতিল হয়। ফলে তাকে জেল হেফাজতে রেখেই চলে বিচার প্রক্রিয়া। ওই কিশোরী বিচারকের কাছে ‘গোপন জবানবন্দি’ পেশ করে। চার্জশিটের পর চলে বিচার প্রক্রিয়া। এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিবেক শর্মা জানান, মোট ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ওই কিশোরীর মা, দিদি ছাড়াও পাঁচজন চিকিৎসক। এদিন বিচারক রায় দেওয়ার আগে ভরা এজলাসে বলেন, এই অপরাধী পশুর মতো কাজ করেছে। সন্তানের সঙ্গে বাবা মা’র যে মধুর সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের উপর সে আঘাত করেছে। আদালত এই অবস্থায় চুপ করে বসে থাকতে পারে না। সেকারণেই এই কড়া সাজা দেওয়া হল।