বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হলদিয়া শহর তৃণমূলের ডাকে ওই দিন টাউনশিপের মাখনবাবুর বাজারে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলার দেবপ্রসাদ মণ্ডল, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য আজিজুল রহমান, আইএনটিটিইউসির জেলার কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকার প্রমুখ। সভায় ব্যাপক ভিড় হয়। শুভেন্দুবাবু বলেন, এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। খরা থেকে বন্যা মানুষ আমাদেরই পান, আগুন লাগলে আমরাই থাকি। মানুষ বিপদে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করতে প্রথমে আমরাই ছুটে যাই। অন্য কেউ যায় না। খেলা থেকে মেলা সবেতেই আপনারা আমাদেরই দেখতে পাবেন। বিজেপি বা অন্য দলগুলির টিকি খুঁজে পাবেন না। ভোটের সময় এরা পরিযায়ী পাখির মতো উদয় হবে। আর মাইক টাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা অপ্রমাণিত তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। এরকম করে কিছু হয় না। এদের ফাঁদে ভুলেও কেউ পা দেবেন না।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ওরা জিতলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, আর হারলে জিনিসের দাম কমে। উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরায় বিজেপি জিতলে পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়ে। জিএসটির ট্যাক্সের হার শতাংশের হারে বাড়ে। আর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে যখন বিজেপি হেরে যায়, তখন এসব জিনিসের দাম কমে যায়। তাই বিজেপিকে হারাতে পারলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরও কমবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি। নোটবন্দিতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, এতে কোনও লাভ হয়নি, আর কালো টাকাও উদ্ধার হয়নি। এই কারণেই আমরা দিল্লিতে বিজেপি সরকারের পরিবর্তন করতে চাই। এরা গত সাড়ে চার বছরে মানুষের সঙ্গে শুধু মিথ্যাচার করে গিয়েছে। একটিও সত্যকথা বলেনি। এখন আমরা বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের ফলাফল দেখছি, পদ্মফুলের পাপড়ি শুকাতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, এদিন তিনি হলদিয়া তথা রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, হলদিয়ায় গত সাড়ে চার বছরে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আইওসি, এক্সাইডের নতুন প্রজেক্ট আসছে। হলদিয়ায় ৫০ বেডের ইএসআই হাসপাতালের কাজ জোরকদমে চলছে। ট্রমা সেন্টারের কাজ শেষের পথে। অন্যদিকে, তৃণমূল সরকারের আমলেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নন্দকুমার-দীঘা ১১৬বি জাতীয় সড়কে উন্নীত হয়েছে। মহিষাদলে গান্ধীজির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তমলুকে মেডিকেল কলেজের কাজও শুরু হবে। বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশত বর্ষে তাঁর জন্মভূমিতে মহিলা কলেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল সরকারের আমলেই রাজ্যে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ২০১১ সালে মোটা ধানের কুইন্টাল ছিল ১০২০টাকা, এখন ১৭৫০টাকা করে চাষির কাছ থেকে সহায়কমূল্যে ধান কিনছে রাজ্য সরকার। এই সরকার মানুষের জন্য যা করেছে, তা আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি। শুভেন্দুবাবু ওই দিনের সভা থেকে বিজেপির উদ্দেশে বলেন, আজকে শুধু তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে কাজ করা লোকজন, নেতা-নেত্রীরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চাইছেন। চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লারা ১৯ তারিখ ব্রিগেড সমাবেশে আসছেন। বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন। দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধু রাজ্য নয়, দেশের নেতৃত্বে দেখতে ঐতিহাসিক জমায়েত সফল করতে হবে।