বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজারহাট রাইগাছির দু’টি স্কুলের পাশে আগাছা বোঝাই পরিত্যক্ত একটি পুকুরে বিষধর সাপ ও কীটপতঙ্গের উৎপাতের আতঙ্ক সামনে আসে। সেটির সংস্কার চেয়ে পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মালিক ও বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস তিনেক হতে চলেছে, পুকুরটির সংস্কার হয়নি।
রাজারহাট জুড়ে পুকুর সংস্কার হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নে বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পুকুর সংস্কার করছেন না। ফলে এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে জলাশয় ভরাট চলছে। সেখানে গড়ে উঠছে বহুতল। এখানেই প্রশাসনিক নজরদারির অভাবকে দায়ী করছে বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য, রাজারহাট ব্লক নিউটাউন শহর ঘেঁষা। বর্তমানে এখানে জমির দাম আকাশছোঁয়া। তাই অনায়াসে জলাশয়গুলির চরিত্র বদল হয়ে, গড়ে উঠছে বহুতল আবাসন। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পুকুর সংস্কার না হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
রাজারহাট ব্লকের অধীনে পড়ে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনিক মহল সূত্রে খাতা-কলমে কতগুলি পুকুর রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার একাধিক প্রবীণ বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অসংখ্য পুকুর রয়েছে। তারমধ্যে অন্ততপক্ষে ১০০টির উপর পুকুর কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি। এই মুহূর্তে সেগুলি সম্পূর্ণ ব্যবহারের অযোগ্য। যদিও শাসক তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, আগাছাভর্তি পুকুরগুলি সবই ব্যক্তি মালিকাধীন। সেগুলি সংস্কারের জন্য মালিকদের অনুমতি লাগে। আবার পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, সরকারি অর্থ খরচে স্বাধীনভাবে পুকুর সংস্কার কাজ করা যায় না।-নিজস্ব চিত্র