বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
তাঁর রায়ে আটদফার ওই নির্দেশিকায় বিচারপতি জানিয়েছেন, এক, যেকোনও মূল্যে কলেজগুলিতে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ রাখতে হবে। পড়ুয়াদের সঙ্গে সম্মানজনক ব্যবহার করবেন অধ্যাপকরা। দুই, বিষয়গুলিতে পাঠদান করতে হবে দক্ষতার সঙ্গেই। শিক্ষাপদ্ধতির দিকে নজর দিতে হবে। তিন, কাজে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। শুধুমাত্র দক্ষতার সঙ্গে পাঠদান করলেই চলবে না, কলেজের প্রশাসন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়েও রাখতে হবে স্বচ্ছতা। চার, ছাত্রছাত্রী, সহকর্মী ও কলেজের বাকি কর্মীদের সঙ্গে ভালো আচরণ ও ব্যবহার করতে হবে। পাঁচ, পড়ুয়াদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে এবং তা করতে হবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই। ছয়, অধ্যাপকরা ক্রমাগত নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেবেন। সাত, পঠনপাঠনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা বাড়াতে হবে। আট, কলেজের নীতির কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। পঠন-পাঠন, গবেষণা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের নীতির বিরুদ্ধে কাজ করা যাবে না।
যে মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি দত্ত (পাল)-এর এমন রায়, তার প্রেক্ষিত এইরকম: ২০১৫ সালে হুগলির একটি কলেজে টিচার-ইন-চার্জ পদ থেকে প্রিন্সিপাল পদে যোগ দেন মামলাকারী অধ্যাপিকা। কিন্তু প্রিন্সিপাল পদে তাঁর নিয়োগে খুশি ছিল না শাসক দলের ছাত্র সংগঠন সমর্থিত ছাত্র সংসদ। অভিযোগ, প্রিন্সিপাল পদে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানোর পাশাপাশি, মিথ্যা মামলা পর্যন্ত করা হয়।
এরপর ওই অধ্যাপিকা এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন এবং কলেজের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। সেই সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালতে সেই মামলা চলছিল। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারী অধ্যাপিকা। নিম্ন আদালতের সেই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।