বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হুগলি জেলার অন্যতম বৃহৎ বাস স্ট্যান্ড রয়েছে তারকেশ্বরে। এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যায় বাস। তবে এখনও বহু জায়গায় বাস চলাচল শুরু করা যায়নি। কোথাও আবার বন্ধ হয়ে রয়েছে বাস পরিষেবা। এবার ভোটের ইস্যুতে এইসব অভিযোগ সামনে এনেছে আম জনতা থেকে বিরোধী দল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারকেশ্বর থেকে কলকাতা, হাওড়া, শ্রীরামপুর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও ব্লকগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত। রাত ৮টার পর পাশাপাশি এলাকাগুলিতে যাওয়ার কোনও বাস মেলে না। এছাড়া বাস পরিষেবা চালু করার দাবি উঠেছে চব্বিশপুর, জাঙ্গিপাড়া, অমরপুর, গোতান, পিয়াসাড়া, জৌগ্রাম হয়ে কাটোয়া, তারাপীঠ সহ একাধিক জায়গার যাওয়ার।
তারকেশ্বর লাইন প্যাসেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক হরদাস চক্রবর্তী বলেন, তারকেশ্বর থেকে সরাসরি কলকাতা, হাওড়া, বোলপুর, তারাপীঠ, পুরুলিয়া যাওয়ার বাস নেই। তারকেশ্বর থেকে শ্রীরামপুর যাওয়ার বাস দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। মূল শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ রাত আটটা- সাড়ে আটটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যক্তিগত যানবাহন না থাকলে বাড়ি ফেরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। জেলার বহু গ্রাম অটো, টোটো সহ ছোট ছোট যানবাহনের উপর নির্ভরশীল। এই সমস্ত এলাকায় বাস পরিষেবা শুরু করা প্রয়োজন। হুগলি জেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বাসস্ট্যান্ড তারকেশ্বর। এখান থেকে এখনও সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়নি। প্রশাসনের কাছে আবেদন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত সরকারি বাস পরিষেবা চালু হোক এখান থেকে। সিপিএম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডের উদ্বোধন করেছিলেন। তৃণমূল সরকার আসার আগে দ্বিতীয় বাস স্ট্যান্ডের সূচনা হয়েছিল। দু’টি বৃহৎ বাস স্ট্যান্ড থাকার পরেও এখনও শুরু হয়নি সরকারি বাস পরিষেবা। জনসাধারণকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই এলাকায় বাস স্ট্যান্ড করার জন্য জায়গা দিয়েছিল সাধারণ মানুষ। সেই জায়গায় বহুতল সহ একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে পরিষেবা থেকে। একই সুরে বিজেপিও জানিয়েছে বাস পরিষেবার দুর্দশার কথা। আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আরামবাগ-চাঁপাডাঙা রোড, তারকেশ্বর-চকদিঘি রোড সহ সমস্ত রাস্তা আধুনিকভাবে সাজিয়ে তুলেছেন। আমরা এমন বিভিন্ন রাস্তায় সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। আশা করি জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সমস্যার কথা বিবেচনা করবেন। যেখানে বাস চলাচল বন্ধ আছে, তা নিয়ে বা আলোচনা হবে।