বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বারুইপুর ব্লকের ফুলতলা, ধপধপি, রামনগর, চম্পাহাটি, কুড়ালি, সীতাকুণ্ড, বৃন্দাখালি, ছয়ানি এলাকা জুড়ে ধূপশিল্পের রমরমা। এই কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার মানুষ জড়িত। ধূপ তৈরির কারখানা একের পর এক গড়ে উঠেছে। আবার কেউ বাড়িতেই ধূপ তৈরির কাজ করেন। এই রাজ্যের শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, বীরভূমে পাড়ি দেয় বারুইপুরের ধূপ। এমনকী, ত্রিপুরা, অসমেও গাড়ি করে ধূপ সরবরাহ হয়। ফুলতলার এক কারিগর আশুতোষ দাস বলেন, আগে দিনে পাঁচ কিলো ধূপ তৈরি হতো হাতে ঘষে। কিন্তু কয়েকবছর আগে ভিয়েতনাম থেকে আধুনিক মেশিন এসেছে। তাতে রোজ ৪০ কিলো ধূপ তৈরি হচ্ছে। এতে সময়ও কম লাগছে। ভিয়েতনাম থেকেই জোস পাউডার আর চীন থেকে ব্যাম্বু স্টিক আসে, যা ধূপ তৈরির প্রধান উপাদান। তবে কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার, কেউ এই শিল্পের জন্য ভাবেনি।
সকাল থেকে ঘরের হেঁসেল সামলে সোমা, অরুণা, স্বপ্নারা চলে আসেন কারখানায় ধূপ তৈরি করতে। বিভিন্ন মাপের সুগন্ধী ধূপ, মশা মারার ধূপ তৈরি করেন তাঁরা। মেশিনে ধূপ তৈরি করে দিনে ৩০০ টাকা আয় করেন এই মহিলারা। তাঁরা বলেন, ভোট আসে ভোট যায়। আমাদের হাল ফেরে না। এই ধূপ তৈরি করে নিজেরা বাজারে বিক্রি করলে তবেই স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু এজন্য সরকারি সাহায্য দরকার। আর এক কারিগর বাবুন ঘোষ বলেন, প্রার্থীরা ভোট চাইতে এলে একটাই আবেদন রাখছি, রেশন ব্যবস্থায় যুক্ত হোক এই কুটির শিল্প।