বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বছর দু’য়েক আগের ঘটনা। রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সাব ইনসপেক্টর কৌশিক ঘোষের কাছে খবর আসে যে, বাংলাদেশ থেকে চোরাচালান হয়ে বেশ কিছু বিরল পাখি এদেশে আসছে। এবং সেগুলি আসবে সৌমেন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির কাছে। ২০২২ সালের ২৮ মে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা সৌমেনের বাড়িতে হানা দেন। তাঁরা দেখেন, ম্যাকাও থেকে শুরু করে টোকো টৌকান, গালা কোকাটোর মত বেশ কিছু বিরল প্রজাতির পাখি সেখানে রয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। তদন্তকারীদের দাবি, ওই পাখিগুলি পোষার জন্য সৌমেনের কাছে কোনও ট্রেড লাইসেন্স ছিল না। পাশাপাশি তিনি বনদপ্তরের কোনও লাইসেন্সও দেখাতে পারেননি। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীকালে পুলিসের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন সৌমেন। ওই পাখিগুলি যে তিনি আইন মেনেই পুষেছিলেন তা প্রমাণ করতে গয়েশপুর পুরসভার তরফে দেওয়া ট্রেড লাইসেন্স এবং বনদপ্তরের দেওয়া লাইসেন্সও পেশ করেন। শেষ পর্যন্ত জামিনে মুক্তিও পান। এবং ওই পাখিগুলি তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। কিন্তু অভিযোগ, তারপর বছর খানেক কেটে গেলেও পাখিগুলি তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তা ফেরত পেতে শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন।
সম্প্রতি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে পুলিসের তরফে জানানো হয়, তাদের কাছে পাখিগুলি রাখার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় সেগুলিকে গড়চুমুক ডিয়ার পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছে। পাখিগুলি বর্তমানে সেখানেই রয়েছে। এখন বনদপ্তরের বিভাগীয় আধিকারিকের অনুমোদন ছাড়া পাখি পাওয়া সম্ভব নয়। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অবশেষে বনদপ্তরের অনুমতিক্রমে পুলিসকেই ওই পাখিগুলি মামলাকারীকে ১৫ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। আগামী ২২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।