বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিং প্রায় আট হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন। এই বিধানসভার অধীনে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২৪টি এবং হালিশহর পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। বুথের সংখ্যা ২০৫। ভোটার প্রায় দু’লক্ষ। এই ৪৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূলকে এগিয়ে রাখতে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন ‘সেনাপতি’ সুবোধ অধিকারী। বীজপুর থেকে কমপক্ষে ২৫ হাজার মার্জিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানাচ্ছেন তিনি। বিধায়ক হিসেবে যে উন্নয়ন তিনি হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া এলাকায় করেছেন, তার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলির জোরদার প্রচার করছেন তিনি। কাঁচরাপাড়ায় রেলের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরা হচ্ছে। শুক্রবার সুবোধবাবু বলেন, ‘অর্জুন সিং পলিটিক্যাল ক্যান্সার। নিজের স্বার্থ নিয়ে চলেন। মানুষ তাঁকে এবার ভোটের বাক্সে জবাব দিয়ে দেবে। শুভ্রাংশু ও আমি একসঙ্গে মানুষের কাছে যাচ্ছি।’ শুভ্রাংশু বলেন, ‘বারবার দলবদলের রাজনীতি মানুষ বিশ্বাস করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তৃণমূলকেই আশীর্বাদ করবে মানুষ। তাই অর্জুন সিং বীজপুরে ঘুরছেন, কিন্তু সেভাবে লোক পাচ্ছেন না।’
এসব কথাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। এদিনও চড়া গরমের মধ্যে বীজপুরে পদযাত্রা করেন তিনি। বলেন, ‘বীজপুরের মানুষ অর্জুন সিংকে চেনেন। মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন। আমি কেন দলবদল করেছি, তা মানুষ বুঝে গিয়েছে। ভোটের বাক্সে জবাব পাবে তৃণমূল।’ বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে বীজপুরের ভোট-ময়দান। পাশাপাশি, এখানে সিপিএমের প্রচারও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে সেখানে বাম প্রার্থী দেবদূত ঘোষের হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। নিয়মিত হচ্ছে মিটিং-মিছিল।