নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কার্যত ভয়াবহ কর্মী সঙ্কট চলছে এরাজ্যের ইমিগ্রেশন চেক পোস্টগুলিতে (আইসিপি)। ফলে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাত্রীদের এই ভোগান্তি দূর করতে, জরুরি ভিত্তিতে ডেপুটেশনে লোক চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসআইবি। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এরাজ্যে এসআইবি’র জয়েন্ট ডিরেক্টর অমিতকুমার সিং ডেপুটেশনে কর্মী চেয়ে চিঠি পাঠালেন কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। লালবাজার সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসআইবি’র এক সূত্র জানাচ্ছেন, এরাজ্যের গেদে, পেট্রাপোল, মহদিপুর, ঘোজাডাঙ্গা, হিলি, চ্যারাবান্ধা, ফুলবাড়ি ছাড়াও নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর, কলকাতা পোর্টে ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট (আইসিপি) রয়েছে। কাগজে কলমে এই চেকপোস্টগুলিতে মোট ৭৫৫ জন কর্মী থাকার কথা। যারমধ্যে অর্ধেক নেওয়া হয় ডেপুটেশনের মাধ্যমে। আবার ডেপুটেশনে নেওয়া কর্মীদের অর্ধেক আসে সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিস থেকে আর বাকি অর্ধেক আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী (সিএপিএফ) থেকে।
এই হিসেবে এরাজ্যের ইমিগ্রেশন চেক পোস্টগুলিতে বর্তমানে রাজ্য পুলিসের ১৮৮টি পদ ফাঁকা। তাই ডেপুটেশনে পুলিস কর্মী চেয়ে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন এরাজ্যের শীর্ষ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্তা। সূত্রের খবর, ১৮৮টি কর্মীর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য ডেপুটেশনে ১২৫ জন সাব ইন্সপেক্টর, ৬৩ জন কনস্টেবল চাইছে এসআইবি। চিঠিতে জানানো হয়েছে, কলকাতা বা রাজ্য পুলিস থেকে যে সব পুলিসকর্মীরা ডেপুটেশনে আসবেন, তাঁদের এরাজ্যের নিজের পছন্দের জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ডেপুটেশনে এলে পুলিসকর্মীরা স্পেশাল সিকিউরিটি ভাতা, উর্দি ভাতা, এলটিসি, সন্তানদের শিক্ষা ভাতা পাবেন। তবে এসআই এবং কনস্টেবল উভয় পদের ক্ষেত্রে পুলিসকর্মীকে স্নাতক হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে জানানো হয়েছে।