গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম লক্ষ্মী সিং (৪০), ভাগ্যশ্রী সিং (১৭) ও হাসমত শেখ (৩৫)। লক্ষ্মীদেবী ও ভাগ্যশ্রী সম্পর্কে পিসি-ভাইঝি। তাঁদের বাড়ি কোন্নগরে। হাসমত শেখ টোটোর চালক। তাঁর বাড়ি বাঙ্গিহাটিতেই। গুরুতর জখম নিধি সিং, ভাগ্যশ্রীর বোন। বছর দশেকের নিধি বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ভাগ্যশ্রী ও নিধি, বাঙ্গিহাটির একটি ইস্পাত কারখানার চিকিৎসক রমেশ সিংয়ের মেয়ে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় কোন্নগরের অবাঙালি চিকিৎসক পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাঙ্গিহাটির বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিসের নজরদারির অভাবেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি রোডের ধারে বেআইনি পার্কিং পুলিস বন্ধ করতে পারেনি। এদিনও রাস্তার ধারে একটি লরি বেআইনিভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। তাই দুর্ঘটনা এতটা মর্মান্তিক হয়ে উঠেছে। বাসিন্দাদের আরও দাবি, লরির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এদিন শ্রীরামপুর থানার পুলিস অবশ্য বেআইনি পার্কিং প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেছে, ঘাতক লরির চালককে আটক করা হয়েছে। সে মদ্যপ ছিল কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঙ্গিহাটির একটি ইস্পাত কারখানার চিকিৎসক রমেশ সিং কোন্নগরের আনন্দম মোড়ে থাকেন। তাঁদের আত্মীয়রা বাঙ্গিহাটিতে থাকেন। সম্প্রতি ওই পরিবারে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে আত্মীয় সমাগম হয়েছিল। এদিন চিকিৎসকের বোন লক্ষ্মীদেবী চিকিৎসকের দুই মেয়ে ভাগ্যশ্রী ও নিধিকে নিয়ে বাঙ্গিহাটির আত্মীয় বাড়িতে এসেছিলেন। সেখান থেকে তিনি দাদার কর্মস্থলেও যান। তারপর ভাইঝিদের নিয়ে টোটোয় করে কোন্নগর ফিরছিলেন। বাঙ্গিহাটির টোটো চালক হাসমত আলির টোটো নিয়ে তাঁরা পার ডানকুনি হয়ে কোন্নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বাঙ্গিহাটি জলট্যাঙ্কের কাছে আচমকা পিছন থেকে একটি লরি টোটোকে ধাক্কা দেয়। তার ভয়ঙ্কর আওয়াজে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তাঁরা দেখতে পান, একটি টোটো দু’টি লরির মাঝে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রাই উদ্যোগ নিয়ে সেখান থেকে লক্ষ্মীদেবী, ভাগ্যশ্রী ও হাসমতকে উদ্ধার করেন। পরে শ্রীরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লরির ধাক্কায় নিধি ছিটকে পড়েছিল। তার শরীরের উপর লরির চাকা উঠে যায়। তাতেই সে গুরুতর জখম হয়।