মাথায় টুপি। চোখে রোদ চশমা। গোটা মুখমণ্ডল ঢাকা কাপড়ে। পাশ দিয়ে গেলে অতি পরিচিত কাউকেও চেনা দায়। কলকাতা যেন আচমকা পাল্টে মরুভূমি হয়ে গিয়েছে। চোখ-মুখ ঢাকা সাজপোশাকের দৌলতে আম বাঙালিও যেন হয়ে গিয়েছে আরব বেদুইন।
আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে দেশের মানুষের জীবনে দুর্দিন নামিয়ে এনেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর নয়! এবারই সঠিক সময়। প্রধানমন্ত্রী পাল্টে দিন— খোলা মঞ্চ থেকে এই আহ্বান রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দুপুর ২টো। আমতার বাকসি ফুটবল মাঠে হাতে ছাতা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বছর পঁয়ষট্টির অজয় বেরা। আপনার বাড়ি কোথায়? জিজ্ঞাসা করতে বললেন, ‘মানকুরে’। কেন এসেছেন? ‘শুনেছি, মন্ত্রী অভিষেক আসবেন। তাঁকে দেখতে এসেছি।
সোমবার মনোনয়ন পেশ করলেন বারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক ও বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তাঁদের এই কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে সরগরম হয়ে থাকল জেলা সদর শহর বারাসত।
ভোট মরশুমে রাজনৈতিক দলগুলির নানা প্রতিশ্রুতি থাকে। পাশাপাশি থাকে আম জনতার কিছু প্রত্যাশা, কিছু প্রস্তাব। সমসময় যে তা বিজলি-পানি-সড়ক নিয়েই হয়, এমনটা নয়। যেমন, লোকসভা ভোটের চলতি প্রচারপর্বে চুঁচুড়ার বাসিন্দাদের মধ্য থেকে উঠে আসছে ট্যুরিজম সার্কিট বা পর্যটন করিডর না হওয়ায় আফশোসের কথা।
উচ্চশিক্ষায় কেন্দ্রের ‘কস্ট কাটিং’ নীতির জেরেই কী প্রাণ গেল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার? দুর্গাপুর এনআইটিতে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই এই প্রশ্ন উঠছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, পাঁচ হাজার পড়ুয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকা মেডিক্যাল ইউনিটের স্বাস্থ্য পরিষেবা লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন শ্রীরামপুর থেকে হুগলির প্রার্থীরা দিনভর প্রচার করলেন। জনসভা থেকে পথসভা, রোড শো থেকে পদযাত্রা আর চা-চর্চায় প্রচার করলেন প্রার্থীরা। তবে এদিন শ্রীরামপুর ও হুগলির দুই প্রার্থীর মনোনয়ন পর্ব ছিল।
নাম না করে তৃণমূলকে বিজেপির ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করলেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সোমবার জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন পেশ করার পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি রাজ্যের শাসক দলকে এই ভাষায় কটাক্ষ ছুড়ে দেন।
সোমবার হুগলি, আরামবাগ ও শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তিন প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে দিনভর সরগরম রইল হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়া। আবেগ, আয়োজন ও উৎসাহে নজর কেড়েছেন হুগলি আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘দিদি, জলটা একটু দেখুন। সকাল ৭টায় জল আসে। রান্না করে কাজে বেরতে হয় তো। এত দেরিতে জল এলে খুব সমস্যা।’ ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নৃসিংহনগর বি কলোনির গৃহবধূ সুজাতা চক্রবর্তীর কথা শেষ হতে না হতেই বৃদ্ধ অনিল সাধক বলে উঠলেন, ‘মা, ১০টা পরিবার।
আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিয়ালদহ কোলে মার্কেট থেকে লালবাজার পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ আমলে ইটের তৈরি এই নিকাশি পরিকাঠামো এতদিনে নানা জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহুকাল এই নিকাশিনালা থেকে সার্বিকভাবে ডিসিল্টিং বা পলি তোলা হয়নি। এবার সেই কাজেরই পরিকল্পনা করছে পুরসভা। এই কাজ শেষ হলে উপকৃত হবেন বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সংলগ্ন একাধিক ওয়ার্ডের হাজার হাজার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার, নিকাশি নালা সংস্কারের বিষয়টি পুরসভার অধিবেশনে তোলেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ইতিমধ্যেই এটা নিয়ে বিভাগীয় কাজকর্ম শুরু হয়েছে।
শিয়ালদহ কোলে মার্কেট, বউবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে লালবাজার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তা এবং গলিপথ বর্ষায় মাঝেমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বউবাজারের প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট, রামকানাই অধিকারী লেন, হিদারাম ব্যানার্জি লেন, গৌর দে লেন, বাবুরাম শীল লেন সহ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের আশপাশের চার-পাঁচটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন অঞ্চল জমা জলের দুর্ভোগে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বিভিন্ন জায়গায় ম্যানহোল থেকে পলি তোলার কাজ চালাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু বহু প্রাচীন এই ভূগর্ভস্থ নিকাশিনালা অনেক জায়গাতেই ক্ষতিগ্রস্ত বলে জল ঠিকমতো যেতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে গোটা নিকাশিরই আমূল সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পলি তুলে নালার অভ্যন্তরে লাইনার লাগিয়ে জ্যাকেটিং করা হবে, যাতে ভূগর্ভস্থ নিকাশি আরও মজবুত হয়। কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘এই নিকাশি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আমার ওয়ার্ড ছাড়াও ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৯, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা, গলিপথে জমা জলের ভোগান্তি মিটবে এর ফলে। বউবাজার এলাকার বাসিন্দারাই উপকৃত হবেন।’-নিজস্ব চিত্র
শিয়ালদহ কোলে মার্কেট, বউবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে লালবাজার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তা এবং গলিপথ বর্ষায় মাঝেমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বউবাজারের প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট, রামকানাই অধিকারী লেন, হিদারাম ব্যানার্জি লেন, গৌর দে লেন, বাবুরাম শীল লেন সহ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের আশপাশের চার-পাঁচটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন অঞ্চল জমা জলের দুর্ভোগে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বিভিন্ন জায়গায় ম্যানহোল থেকে পলি তোলার কাজ চালাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু বহু প্রাচীন এই ভূগর্ভস্থ নিকাশিনালা অনেক জায়গাতেই ক্ষতিগ্রস্ত বলে জল ঠিকমতো যেতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে গোটা নিকাশিরই আমূল সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পলি তুলে নালার অভ্যন্তরে লাইনার লাগিয়ে জ্যাকেটিং করা হবে, যাতে ভূগর্ভস্থ নিকাশি আরও মজবুত হয়। কাউন্সিলার বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘এই নিকাশি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আমার ওয়ার্ড ছাড়াও ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৪৯, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা, গলিপথে জমা জলের ভোগান্তি মিটবে এর ফলে। বউবাজার এলাকার বাসিন্দারাই উপকৃত হবেন।’-নিজস্ব চিত্র
