সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এদিন তাঁদের মেয়ে অন্যান্য দিনের মতোই সল্টলেকের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন ঐন্দ্রিলাদেবী। সেই সময় তাঁকে ফোন করে সিবিআইয়ের নাম করে হিন্দিতে বলা হয়, ‘আপনার মেয়েকে আমরা হেফাজতে নিচ্ছি। আদালতের বাইরে যদি নিষ্পত্তি করতে চান, তাহলে এখনই ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসুন।’ কিন্তু টাকা নিয়ে কোথায় যেতে হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা। তাঁর থেকে ফোনে বিষয়টি জেনে তড়িঘড়ি সল্টলেকে মেয়ের কলেজে ছোটেন দেবজ্যোতিবাবু। খবর দেন ভাটপাড়া থানায়।
ঘটনাচক্রে সেই সময় তাঁদের কলেজে থাকায় ফোন ধরতে পারেননি। এতে সবার আতঙ্ক আরও বাড়তে থাকে। হন্তদন্ত হয়ে কলেজে ঢুকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার পর হাঁফ ছাড়েন দেবজ্যোতিবাবু। পরে তিনি বলেন, ‘যে নাম্বার থেকে ফোন করা হয়েছিল সেটি ভিআইপি নম্বর হিসেবে শো করছে এবং নম্বরটি পাকিস্তানের। রাজনৈতিক উদ্দেশে এসব করা হলে তা খুবই নিম্ন রুচির।’ ঘটনার খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম সহ স্থানীয় নেতৃত্ব।
এই ঘটনার পিছনে বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থীর ‘হাত’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন পার্থ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি পরাজিত বন্ধুর মুখ দেখতে পাচ্ছি। পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন বাইরে থেকে ভুয়ো নম্বর দিয়ে সিবিআইয়ের নাম করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ অর্জুন সিং পাল্টা বলেন, ‘পুলিসের কাছে নম্বর দিলেই তো দু’মিনিটে বের করা যাবে, কে ফোন করেছে। যে করেছে, পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করবে। সারাক্ষণ কি অর্জুন সিংয়ের ভূত দেখছে পার্থ ভৌমিক?’