যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৫টা নাগাদ বড়বাজারের গোবিন্দচাঁদ ধর লেনে, নাখোদা মসজিদের উল্টোদিকে পিচবোর্ডের গুদামে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দুটি বিল্ডিংয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ধাপে ধাপে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা। স্থানীয় লোকজনও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পাশের বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। প্রাণভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। অভয় যাদব, শারমিন বেগম, মহম্মদ শামিম, কাসিম বাচ্চুরা জানান, কেউ কেউ জামাকাপড় ও টাকাপয়সা ব্যাগে করে বাইরে আনতে পেরেছেন। অনেক সে সুযোগটুকুও পাননি। বাদবাকি সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবরও নেই। এদিন ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পাশের দু’টি বাড়ির একতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সাহায্য করেছেন।’ কিন্তু, এভাবে ঘরের মধ্যে গুদাম তো বেআইনি? মন্ত্রী বলেন, ‘ঘিঞ্জি এলাকায় এই গুদাম বহু বছর ধরেই চলছে। আগুন নিভেছে। এবার বাকি বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখা হবে।’
বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী, হাতাহাতি বেধে যায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে। তাপসবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলার মহেশকুমার শর্মা শামিম নামে তাঁদের এক কর্মীর গায়ে হাত তুলেছেন। তিনি ওই কাউন্সিলারকে গ্রেপ্তার করার দাবি তোলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘আমি কাউন্সিলার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরাই প্রথমে ছুটে এসেছিলেন। পরে দমকল আসে। পাশের বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ তাপস রায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘যখন কেউ নতুন নতুন নির্বাচনে দাঁড়ান, তখন একটু বেশি কথা বলেন।’