পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
কিন্তু পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ার পর ক্যাম্পাসে উপাচার্যের পুলিস ডাকা উচিত ছিল বলে মনে করেন এক সময়ের পোড় খাওয়া ছাত্রনেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই নকশালদের সঙ্গে সুব্রতবাবুদের লড়াই। আক্রান্তও হয়েছেন একাধিকবার। বৃহস্পতিবারের ঘটনাতেও নকশালদের ভূমিকা ছিল। তাই রীতিমতো আক্রমণাত্মক ছিলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকেই এই ধারা চলছে। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা ব্রিটিশ পুলিসকে ক্যাম্পাসে পর্যন্ত ঢুকতে দিতেন না। আমি তো টিভিতে দেখেছি, উপাচার্য বলছেন, আমি মরে গেলেও পুলিস ডাকব না। এরপর কোনও মুখ্যমন্ত্রীর হিম্মত থাকবে ক্যাম্পাসে পুলিস ঢোকানোর? এরপর পুলিস সেখানে ঢুকলে, তার পুরো দায় হয়তো আমাদের উপরেই আসত। রাজ্যপালকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উঁচু পদে যারা রয়েছেন, তাঁরা বীরত্ব দেখাতে বাবুলকে উদ্ধার করতে চলে গেলেন। আসলে এটা একটা চিত্রনাট্য। বাবুল তো উদ্ধার হয়েই ছিলেন। রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনি নিজে কেন পুলিস ডাকেননি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তবে, এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কমিশন করে তদন্ত করা উচিত এবং শাস্তি দেওয়া উচিত।
ঘটনাচক্রে এদিনই অসুস্থ উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং সহ উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষকে দেখতে ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্টির লাইন থেকে আপাতভাবে সরে এসে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সুব্রতবাবুর তোপ দাগা মন্তব্য নিয়ে পার্থবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, এরকম কোনও বিতর্কের কথা শুনিনি। তবে, এটা তিনি বলে থাকলে, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। দলের মতামত আমরা আগেই জানিয়েছি। এই প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে, রাজনৈতিক মহলের দাবি, সুব্রতবাবু তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সব দিক বজায় রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিসের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনই বাবুলের হেনস্তারও নিন্দা করেছেন। রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষই মনে করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হয়নি। আবার বিজেপি যাতে এই ঘটনায় রাজনৈতিক সুবিধা না পায়, তাই বাবুল এবং রাজ্যাপালের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। যদিও, পুলিস ডাকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের লাইনে কথা বলায় সুব্রতবাবুর প্রশংসা করেছেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা রাহুল সিনহা।