বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে বেশ কিছু জায়গায় দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকার সমস্যা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বামফ্রন্টের পুর-পরিষদীয় দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদার। তিনি বলেন, বর্তমান পুর-প্রশাসকরা নিজেদের প্রচার ও বিজ্ঞাপনে যতটা নজর দিয়েছেন, বাস্তবের মাটিতে কাজের কাজ সেভাবে হচ্ছে না। তাঁর ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেণীমাস্টার লেন, শকুন্তলা পার্ক সহ কয়েকটি জায়গায় এদিন সকাল পর্যন্ত জল জমেছিল বলে জানান তিনি। একবালপুর, মোমিনপুর, খিদিরপুর এলাকায় বেশ কিছু অংশে জল জমে ছিল গত মঙ্গলবার পর্যন্ত। এমন অভিযোগ করেন ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলার বিলকিস বেগমও। তবে তাঁর ওয়ার্ডে কোথাও জল এতদিন জমে ছিল না বলে তাঁর দাবি খারিজ করে দেন মেয়র স্বয়ং। বেহালার আরেক বাম কাউন্সিলার নীহাররঞ্জন ভক্ত বলেন, খাল দিয়েই জল যাচ্ছে না। তাই জল পাম্প করলেও ওয়ার্ডের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলার চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, আমার ওয়ার্ডের ব্রহ্মপুর রবীন্দ্রপল্লি, প্রগতি পার্ক, সর্দারপাড়া-বাদামতলা, মালিপাড়ার কিছু জায়গায় বুধবার সকালেও জল ছিল। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার বিজয় ওঝা সামান্য বৃষ্টিতে বড়বাজার এলাকার বেহাল দশার কথা জানান। এসবের জবাবে নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে সাত ঘণ্টায় ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেভাবে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, পরিস্থিতি সেরকম নয়। তাঁর দাবি, বেহালার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র তিনটি ওয়ার্ডে আংশিকভাবে জল জমেছে। তবে সব সরেও গিয়েছে। এই সময় তিনি বাম কাউন্সিলারদের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করায় চেয়ারপার্সন মালা রায় তা সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। জবাবি ভাষণে মেয়র বিরোধীদের তোলা অভিযোগগুলি কার্যত মেনে নিয়ে বলেন, কেইআইআইপি’র কাজ শেষ হতে দিন। দেখবেন পরিস্থিতি আমূল বদলে গিয়েছে। টুডে’জ পেইন, টুমরো’জ গেইন। আগামী বছরই এর সুফল হাতেনাতে পাবেন আপনারা।