বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি পুকুর ভরাট হচ্ছে বলে আমার দলীয় কার্যালয়ের অভিযোগ বাক্সে একটি চিঠি জমা পড়েছিল। তাই অভিযোগের যাথার্থ্য যাচাই করতে এদিন যুগীপাড়ায় গিয়েছিলাম। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ সঠিক। তবে পুকুরের মালিকরা দাবি করেছেন তাঁরা মাপজোক করে পাড় ভরাট করে নির্মাণ করেছেন। তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার জন্য বুধবার আমি ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলব। ম্যাপে পুকুরের যা জায়গা রয়েছে তা থেকে যতটুকু ভরাট হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেই অংশকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুগীপাড়ায় প্রায় বছরখানেক ধরেই দু’টি পুকুর ভরাটের কাজ করছিলেন মালিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হওয়ার পর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলার ও পুরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তারপর বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু, নির্বাচনের দামামা বাজার পর ফের পুকুরটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। শুধু তাই নয়, পাড় সহ ভরানো একটি অংশে গার্ডওয়াল দিয়ে নির্মাণকাজও শুরু করে মালিকরা। তারপরেই এলাকার মানুষ কাউন্সিলার ও পুরসভাকে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই সোমবার যুগীপাড়ার বাসিন্দারা পুকুর ভরাটের ঘটনার কথা লিখে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের খাদিনা মোড়ের পার্টি অফিসের অভিযোগ বাক্সে জমা দিয়ে যান।
সন্ধ্যায় অভিযোগ বাক্স খুলে ওই চিঠি পাওয়ার পরেই বিধায়ক স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুরপ্রধানের কাছে ঘটনার কথা জানতে চান। কাউন্সিলার সঞ্জিতা ধর বিধায়ককে জানান, তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানোর পাশাপাশি শেষ বোর্ড মিটিংয়েও তুলেছেন। এরপরেই অসিতবাবু নিজে মঙ্গলবার দুপুরে ওই পুকুর পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মিটিং থাকায় কাউন্সিলার বা চেয়ারম্যান থাকতে পারবেন না বলে জানান। এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ বিধায়ক একাই যুগীপাড়ায় হাজির হন। ভরাট করা পুকুর দু’টি পরিদর্শন করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুকুরের পাড় থেকে বেশ কিছুটা দূর পর্যন্ত যে নির্মাণ কাজ চলছিল তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।