বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিকে, পুলিসের কাছে অভিযোগ হতেই ওই ১১ জন কাউন্সিলার শুক্রবার ফেসবুক লাইভ করে জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই একত্রিত রয়েছেন। তাঁরা কেউ অদৃশ্য হননি। বাড়িতেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। অনাস্থা ইস্যুতে এহেন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বনগাঁ শহরে ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বনগাঁ পুরসভার ওই ১১ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার ৭ জুন অনাস্থা প্রস্তাব চেয়ে আবেদন জমা করার পরদিনই বনগাঁ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানসহ আরও তিনজন কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চেয়ে মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দেন। প্রসঙ্গত, দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলাররাই অনাস্থা চাওয়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা হলেও কোনও ফল হয়নি। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে গত বুধবার বারাসতে দু’পক্ষ অর্থাৎ যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদন করেছেন সেই কাউন্সিলার এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠকও করেছিল জেলা তৃণমূল। সেখানে দলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, চূড়ান্ত কোনও রফাসূত্র বের হয়নি।
প্রথম যে ১১ জন অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদন করেছেন তাঁরা বাড়ি থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন বলেই চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন। এবং ওই ১১ জনের অদৃশ্য হওয়ার নেপথ্যে কে রয়েছে তাকে খুঁজে বের করার জন্যও আবেদন করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বলেন, ওই ১১ জন কাউন্সিলার বাড়িতেও নেই। পুরসভায় আসতেও আসছেন না। ভোট, অনাস্থা, আস্থা এইগুলি প্রশাসনিক ব্যাপার। এইগুলি আলাদা বিষয়। কিন্তু, যাঁরা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা কেন নিজের ওয়ার্ডের মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের জন্য পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ ব্যহত হচ্ছে। তাঁরা কেউ পুরসভাতেও আসছেন না। অনাস্থা আনতেই পারেন। দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছেন। কিন্তু, পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ না করে এভাবে পালিয়ে বেড়ানোর কি আছে? তাই আমি পুলিসকে বলেছি, বিষয়টি দেখতে।
অন্যদিকে, মনোতোষ নাথ নামে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদনকারী এক তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, আমরা তো বুধবারই বারাসতে জেলা নেতৃত্ব এবং চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাহলে এই অভিযোগ কেন? আমরা তাই আমরা সকলে মিলে ফেসবুক লাইভ করে পুরো বিষয়টি সাধারণ মানুষকে জানিয়েছি।