বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। আজ, রবিবার ভোটের আগে কলকাতার রাজপথে মানুষজনের আনাগোনা ছিল অনেকটাই কম। যানবাহন কম থাকবে, এই আশঙ্কায় রাস্তায় নামতে চাননি অনেকেই। যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁরা যে সমস্যায় পড়েননি, তা নয়। কারণ বেসরকারি বাসের সংখ্যা যথেষ্ট কম ছিল এদিন। যেটুকু বাস রাস্তায় দেখা গিয়েছে, তার অনেকগুলিই ভোটকর্মীদের কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিল। শহরের যে জায়গাগুলিতে কাজের দিনে ভিড় থাকে, তার মধ্যে ডালহাৌসি চত্বর অন্যতম। এদিন সেই ডালহাৌসি-রাজভবন চত্বরে মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো কম। এমনকী ধর্মতলা এলাকাতেও ভিড় ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে খানিকটা কমতির দিকে। যে হাতিবাগান-শ্যামবাজার চত্বরের বাজার বা মনিহারি দোকানের পসরা রীতিমতো জমকালো হয়ে ওঠে সন্ধ্যার মুখে, সেখানেও হেঁকে হেঁকে খদ্দের জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দোকানিরা। রমজানের বিকেলে এন্টালি, রাজাবাজার, মৌলালি, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় ব্যস্ততার সঙ্গে তরমুজ, আম আর আনারসের টুকরো বিক্রি করছিলেন দোকানিরা। পার্কসার্কাস অঞ্চলের একাধিক রেস্তরাঁয় হালিম বিক্রির জন্য সাজানো হয়েছিল কাউন্টার। অনলাইন অর্ডারের ডেলিভারির জন্য বাইক নিয়ে রেডি হচ্ছিলেন কর্মীরা। শনিবারের বিকেলে ধর্মীয় রীতি পালনের ব্যস্ততায় কোথাও ঠাঁই ছিল না ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতির।
কালীঘাটের পটুয়াপাড়াই হোক, বা বউবাজারের গলি, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক চত্বর, পার্ক সার্কাসের মহল্লা বা ক্রিক লেনের আশপাশ— কলকাতার প্রায় কোথাও ভোটের প্রস্তুতির আলাদা ছবি ধরা পড়ল না। ভোটের আগে আগে যেভাবে পাড়াগুলো সেজে ওঠে দলীয় পতাকার মালায়, তার চিহ্নমাত্র দেখা গেল না প্রায় কোথাও। ছোট লাঠিতে বেঁধে দলীয় পতাকা গোঁজা ছিল কোথাও কোথাও। দোকানে, বাড়ির জানালা থেকে উঁকি দিচ্ছিল সেসব পতাকা। কিন্তু রাস্তার এপার-ওপার জুড়ে আকাশ থেকে ঝুলে থাকা থোকা থোকা পতাকার দেখা মিলল না কোথাও। কয়েকটি জায়গায় বড় হোর্ডিংয়ে অবশ্য হাতজোড় করে রইলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট ছোট পোস্টারে হাসি মুখে ধরা দিলেন কনীনিকা বোস ঘোষ। দক্ষিণের পাড়ায় পাড়ায় হোর্ডিংয়ে-পোস্টারে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন মালা রায়। কিন্তু সেসবই গত একমাস ধরে দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল কলকাতাবাসী। হেদুয়ার ধারে বা এন্টালির রাস্তার এদিক-ওদিক দেখা মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বোঝা গেল, কলকাতার শিয়রে ভোট আজ।