বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদিও হাওড়া ও উলুবেড়িয়া ভোটের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে আগামী ১০ এপ্রিল। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ফলে বিরোধীদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। তাই শেষ পর্যন্ত এখানে কে প্রচারে ঝড় তুলতে পারে আর ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে আনতে পারে, তার দিকেই তাকিয়ে আছে আমতার জনতা।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রবল মোদি ঝড় সত্ত্বেও যে আমতা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সুলতান আহমেদ প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন, সেখানে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ফলাফল ঠিক উল্টে গেল। এখানে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী অসিত মিত্র সাড়ে চার হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। এই এলাকায় প্রচার আছে, অসিতবাবুর ভাবমূর্তিই তাঁকে অনেকখানি এগিয়ে রাখে। কিন্তু, পরবর্তীকালে লোকসভার উপনির্বাচন বা পঞ্চায়েত ভোটে আবার তৃণমূল প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে লিড নিয়েছিলেন। আবার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একটি লোকসভা ভোট আসতে চলেছে। এবারও কী আমতায় তৃণমূল তাদের লিড ধরে রাখতে পারবে? না কি বিরোধীদের ভাগ্যে শিকে ছিড়বে? ভোটের দেড় মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই আমতার মানুষের মধ্যে এই প্রশ্নই ঘুরপাক করছে। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বাম ও তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু, এক বছর আগে হওয়া উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসা বামফ্রন্ট এবার কতটা নিজেদের জমি ফিরিয়ে আনতে পারে, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
গত বছরের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের প্রচুর অভিযোগ আছে। কিন্তু, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ আমতা বিধানসভা থেকেই প্রায় ৮৪ হাজার ভোটে লিড নিয়েছিলেন। এখানে সিপিএম প্রার্থীর ভোটও প্রচুর কমেছিল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভার ফল এক রকম হলেও বিধানসভার ফল অন্য রকম হয় কী করে? কারণ ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী অসিতবাবু যে ভোট পেয়েছিলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে লোকসভা উপনির্বাচনে বামপ্রার্থীর ভোট তার অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। আবার গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে আমতা বিধানসভার অধীনে থাকা জেলা পরিষদের চারটি পূর্ণাঙ্গ আসন ও একটি আংশিক আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা প্রায় ৯০ হাজার লিড নিয়েছিলেন। এবারের লোকসভা ভোটে কী এই লিড ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের দাবি, গত ৭ বছরে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখেই মানুষ ভোট দেবে। আর এখানে বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টরই হবে না। মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গেই হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেছেন, আমরা যে দেওয়ালগুলি ‘বুক’ করে রেখেছিলাম, সেগুলি তৃণমূল জোর করে দখল করে লিখে দিচ্ছে। তাই আমরা ঠিক করেছি ফ্লেক্স করে প্রচার করা হবে। আর হাওড়ায় ভোট হতে অনেক সময় আছে। এর মধ্যে আমরা ঘরোয়া বৈঠক শুরু করেছি। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে কীভাবে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে, তা গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল কোনও নিরিখ হতে পারে না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, আমরা প্রচার শুরু করেছি। মানুষের কাছে আমাদের কর্মীরা যাচ্ছেন। গত উপনির্বাচনে যে ভোট বিভাজন হয়েছিল, এবার সেটা হবে না বলেই মনে হয়। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) সুকান্ত পাল বলেন, উন্নয়নের জেরেই আমরা অনেক ভোটে আমতা থেকে লিড দেব। আর বিরোধীরা তাদের প্রার্থীর নামই ঘোষণা করতে পারছে না। তারা আবার প্রচার করবে কী?