যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পার্থবাবু বলেছিলেন, অর্জুন সিং কামাতে না পেরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার জবাবে দিলীপবাবু বলেন, উনি কামাই করতে পারছেন বলেই কি তৃণমূলে রয়েছেন। এদিন হাওড়ার শরৎ সদনে দলীয় কর্মসূচিতে এসে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, এক সময় যাঁরা তৃণমূল করতেন, তাঁরা এখন বিজেপিতে যোগ দেবেন। অর্জুন সিং গ্রেপ্তার হতে পারেন কি না, এই প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সেটা তৃণমূল ভালো বলতে পারবে। তবে তৃণমূল তো পুলিসকে দিয়ে রাজনীতি করছে। কিন্তু, এর যোগ্য জবাব তারা পাবে।
অন্যদিকে, শুক্রবার টাকি সাংস্কৃতিক মঞ্চে বিজেপির কর্মিসভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহাও একই সুরে বলেন, তৃণমূলে ভাঙন সবে শুরু। আগামীদিনে অনেকেই ওদের দল ছেড়ে বিজেপিতে আসবে। লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অনেকে অপেক্ষা করছে। নির্বাচনের পর এই সরকার আর ছ’মাস চলবে। তিনি বলেন, লোকসভার পর এই সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে। এদিন বসিরহাট জেলা বিজেপির নেতা, কর্মীদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়।
রাহুল আরও বলেন, ওরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো ভোট করতে চেয়েছিল। তা হবে না বুঝতে পেরে তৃণমূল এখন দিগভ্রান্ত। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানের নাম না করে তিনি এদিন বলেন, অভিনেত্রীকে দাঁড় করিয়ে সভায় ভিড় করা যায়। কিন্তু, রাজনৈতিক সচেতন মানুষের কাছে থেকে ভোট পাওয়া যায় না। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, দেশের কোনও বড় রাজনৈতিক দল এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। তৃণমূল তো প্রাইভেট লিমিটেড দল। দলনেত্রী ওই কোম্পানির মালিক। আর বাকিরা সব কর্মচারী। ফলে, তিনি যখন খুশি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেন। আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দলে সময়মতো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, এদিনই অন্য একটি মামলায় বারাসত কোর্টে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমি-নুসরতদের ট্রোল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমি সমর্থন করি না। আমি মানুষকে অনুরোধ করব এটা করবেন না। এটা ঠিক নয়। আসানসোলে সৌজন্যের রাজনীতি আমিই শুরু করেছি। আমি কোনও কুকথার রাজনীতি করব না। মুনমুন সেনের সঙ্গে দেখা হলে এক কাপ কফি খাব।