বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তমবাবুর এক আত্মীয় সুভাষ দাসের কথায়, ওই তিনজন ক্যাটারিং সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বুধবার রাতে কাঁকুরগাছিতে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে কাজ সেরে ওই তিনজন বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা রাতে শ্যামবাজার মোড়ে এসে নামেন। এরপর ভূপেন বোস অ্যাভিনিউয়ের বাঁদিকের ফুটপাত দিয়ে মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। রাতের ফাঁকা রাস্তায় মানুষ দেখলে চিৎকার করা কুকুরের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। ওই তিন-চারজনকে দেখে রাস্তার কয়েকটি কুকুর চিৎকার করে তাঁদের পিছু ধাওয়া করে। যা দেখে প্রাণে বাঁচতে ওই তিনজনই ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে দৌড়তে থাকেন। সেই সময় একটি লরি পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে এসে তিনজনকেই ধাক্কা মারে। উত্তমবাবু রাস্তার মাঝে ছিটকে পড়লে তাঁকে পিষে দেয় লরি। লরি নিয়ে চালক বেপাত্তা। এদিকে, আহতদের মধ্যে একজন কোনওরকমে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিসকর্মীকে চিৎকার করে ডাকেন। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা ছুটে আসেন। খবর যায় উত্তমবাবুদের পাড়ায়। এদিকে, আহতদের আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই উত্তমবাবুর মৃত্যু হয়। পুলিস জানিয়েছে, আহত দু’জনের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কুকুরের কামড় খাওয়ার ভয়েই তাঁরা ছুটেছিলেন। কিন্তু পিছন থেকে লরি এসে যাওয়ায় তাঁরা তা দেখতে পাননি।