উত্তরবঙ্গ

দেহদানের ইচ্ছাপত্রে সই করার দিনেই প্রাণ কাড়ল আততায়ী, ‘জননেতা’র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সব মহল

সংবাদদাতা, মালদহ: সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মরণোত্তর দেহদানের। বুধবার তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে মালদহ শহরের ভবানী মোড়ে আয়োজিত কার্নিভাল শেষ হলে বৃহস্পতিবারই মালদহ মেডিক্যালে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেহদানের ইচ্ছা পত্রে সই করতে মনস্থির করে ফেলেছিলেন বাবলা সরকার। ছলছল চোখে মেডিক্যালে দাঁড়িয়ে একথা বলেন ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালা। তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে এক অনুষ্ঠানে আমার পাশে এসে বসেন বাবলাদা। বলেন, মরণোত্তর দেহদান করব ঠিক করেছি। ২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইচ্ছা পত্রে সই করব। আমি তাঁকে বলি, বিষয়টি সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করতে। তাতে আরও অনেকে এই ইতিবাচক কাজে উৎসাহিত হবেন। আমিও মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করেছি বলে জানাই তাঁকে। শুনে খুব খুশি হয়েছিলেন। ভাবতে আশ্চর্য লাগছে, ২ তারিখেই বাবলাদা মালদহ মেডিক্যালে এলেন, কিন্তু অন্যভাবে। বলতে বলতেই কাপড়ে মুখ ঢেকে চোখের জল লুকোলেন প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকারের উত্তরসূরী সুমালা।
জনপ্রিয়তার নিরিখে বাবলা ছিলেন মালদহের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম। নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই, বিরোধী দলের নেতৃত্ব, ক্রীড়া, সংস্কৃতি জগত্, সংবাদমাধ্যম সব মহলের সঙ্গেই ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল দুলাল সরকার ওরফে বাবলার। তাঁর খুন হওয়া তাই স্তম্ভিত করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে মালদহের বাসিন্দাদের অনেককে। তাঁদের অনেকেই মনে করেন নিজগুণেই কার্যত জননেতার স্তরে উঠে এসেছিলেন দুলাল। তাঁর উপরে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা জানাজানি হতেই দ্রুত ভিড় জমতে থাকে মালদহ মেডিক্যালে। কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অনুগামী এবং গুণমুগ্ধরা। হাসপাতালে ছুটে যান ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালা, চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ সহ তৃণমূল নেতানেত্রীরা। তাঁদের সকলেরই মুখ ছিল থমথমে। দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সহ পুরসভার প্রায় সব কাউন্সিলরই। মেডিক্যালে হাজির হন পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি। পরে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। প্রত্যেকেই স্বীকার করেন, বাবলার ব্যবহার ছিল যেমন মধুর, তেমনই তাঁর জনমোহিনী শক্তিও ছিল নজরকাড়া। জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি মান্তু ঘোষ সহ কংগ্রেস ও বামদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকেও এদিন বিচলিত হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা গিয়েছে শোকের বহিঃপ্রকাশ। স্কুল শিক্ষক নির্মল সরেন বলেন, মানুষটির সঙ্গে ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গতা ছিল না। কিন্তু দু’একবার কিছু প্রয়োজনে তাঁর কাছে গিয়ে ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি।
পাড়ার বাসিন্দা সুমন ঘটকও একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। জানালেন, মানুষটা ছিলেন দিলদরিয়া। খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন খুব। বুধবার রাতেও পাড়ার ছেলেদের ডেকে লুচি, বোঁদে ও খাসির মাংস খাইয়েছিলেন। এমন জনদরদী নেতা আর নেই, ভাবতেও পারছি না!  মেডিক্যাল থেকে বের করে আনা হচ্ছে বাবলা সরকারের দেহ। - নিজস্ব চিত্র।
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৩ টাকা৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.৭২ টাকা১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো৮৬.৮১ টাকা৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা