সাম্প্রতিক

করোনা নোটবুক 

এই বাংলা আমার হাসবে আবার
করোনার মোকাবিলা করতে মানুষ বাড়িতে ‘লকড’ ঠিকই। তা বলে কি ‘ডাউন’ হয়ে হয়ে থাকতে হবে? একেবারেই নয়। টলিপাড়ার শিল্পীরা এবার তাঁরা একত্রে গেয়ে উঠলেন ‘এই বাংলা আমার হাসবে আবার’। আগামীকাল ঠিক সকাল ১১টায় একটি মিউজিক ভিডিও আসতে চলেছে। সেখানে অভিনয় করতে দেখা যাবে একঝাঁক তারকাকে। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর কথায়, ‘সবাই একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মিলে ঘরে বসে একটা ভিডিওটি তৈরি করেছি।’ গানটির মিউজিক করেছেন অরিন্দম, লিখেছেন প্রসেন। ভিডিওটি এডিট করেছেন ঋক বসু। ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, শ্রাবন্তী, বনি, পরমব্রত, শুভশ্রী, অঙ্কুশ, ঋত্বিক চক্রবর্তী, পাওলি, সায়ন্তিকা। রাজ কিন্তু ইতিমধ্যেই ভিডিওর একটি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেছেন। সেখানে শুভশ্রীকে বাড়ির ব্যালকনিতেই এই গানটি গাইতে দেখা যাচ্ছে। গানটি গেয়েছেন নিকিতা গান্ধী, দেব, অরিজিৎ এবং শাশ্বত।
বাইরে যাওয়া বারণ
‘সোয়েটার’। মানে প্রথমত, ঈশা সাহা ফ্যালফ্যাল চোখে হাতে উল বুনছেন। আর দ্বিতীয়ত, লগ্নজিতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে ‘প্রেমে পড়া বারণ’ গানটি। গত বছর এই গানটি মুক্তি পাওয়ার পরই বাঙালি তরুণ-তরুণীদের হৃদয় একেবারে উথাল-পাতাল হতে শুরু হয়। বুঝে ওঠার আগেই কত প্রেম যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিংবা প্রেম বলে ভুল করে, কত সম্পর্ক আর বন্ধুত্বের গণ্ডিই পেরতে পারেনি। সেই সব না বলা কথা গোটা গানের মধ্যে উঠে এসেছে। তবে এখন লকডাউন। প্রেমবন্দি হয়ে রয়েছে ফোন আর ভিডিও কলে। করোনা রুখতে বাড়িতেই থাকতে হবে। তাই ‘সোয়েটার’-এর টুকু ওরফে ঈশা ‘প্রেমে পড়া বারণ’-এর সঙ্গেই গলা মিলিয়ে বলছেন ‘বাইরে যাওয়া বারণ, কারণে অকারণে’।
বান্দ্রা থেকে সুরাত
লকডাউন ঘোষণা হতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ি ফেরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল দিল্লিতে। আনন্দবিহার বাসস্ট্যান্ডে হাজির হয়েছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। একই চিত্র ধরা পড়ল মহারাষ্ট্রের বান্দ্রা ও গুজরাতের সুরাতেও। বাড়ি ফেরার দাবিতে হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় নামায় ঘুম ছুটে যায় প্রশাসনের। বান্দ্রায় ভিড় হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। ধুন্ধুমার বেধে যায় সুরাতে। শ্রমিকদের দাবি, লকডাউনের জন্য সব বন্ধ। কাজ নেই। খাবার কেনার মতো পয়সাও নেই। আমরা বাড়ি ফিরতে চাই।
করোনায় নির্বাচন
করোনা আতঙ্কের মধ্যেও সংসদীয় নির্বাচন হল দক্ষিণ কোরিয়ায়। ভোটে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক জোট। আশ্চর্যের বিষয়, করোনা আবহের মধ্যেও এবছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ভোটদানের হার বিগত তিন দশকের মধ্যে সর্বাধিক। ভোটারদের জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা, মাস্ক-গ্লাভস বিলি, জ্বর থাকলে আলাদা বুথ, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটারদের জন্য বিশেষ পোলিং স্টেশন রাখা হয়েছিল। সংক্রমণ ছড়ানোর আগে বেকায়দায় ছিল মুন সরকার। কিন্তু মহামারী রুখেই সাফল্য পেল জোট।
রক্তাক্ত লকডাউন
কেনিয়ায় করোনার প্রকোপ এখনও সেভাবে পড়েনি। তবুও সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলছে দেশে। জারি করা হয়েছে কার্ফু। এর মধ্যে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে পুলিসের বিরুদ্ধে। করোনার থেকেও তাদের লাঠি-গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ১২। এই পরিসংখ্যান দেখার পর অনেকেই বলছেন, কোথাও লকডাউন এতটা রক্তাক্ত হয়ে ওঠেনি।
মাটিতে থেকেই এয়ারলাইন্স ঠাট্টা
ওড়াউড়ি বন্ধ। বিমানবন্দর যেন বিমানের পার্কিং লট। কোনও কাজ নেই এয়ারলাইন্সগুলির। তাই ট্যুইটারে একে অন্যকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মাতল তারা। শুরুটা করেছিল ইন্ডিগো। ভিস্তারার ট্যাগলাইন নিয়ে খোঁচা দিয়ে তারা লেখে, ‘তোমরা নাকি আজকাল আর উঁচুতে উড়ছ না?’ ট্যুইটটি ভাইরাল হতেই পাল্টা দেয় ভিস্তারাও। তারা লেখে, ‘না ইন্ডিগো, আজকাল মাটিতে থাকাই ভালো। আকাশে ওড়া মোটেই স্মার্ট চয়েস নয়। কি বল গোএয়ার?’ গোএয়ারও অপেক্ষাতেই ছিল। এয়ার এশিয়াকে ট্যাগ করে তারা লেখে, ‘বাড়িতে থাকাই এখন নিরাপদ। প্রত্যেকের ওড়ার জন্য এটা সঠিক সময় নয়।’ স্পাইসজেটকে ট্যাগ করে তারপর এয়ার এশিয়ার ট্যুইট, ‘আপাতত বাড়িতে থাকাই রেড, হট, স্পাইসি।’ স্পাইসজেটও লেখে, ‘অনেকদিন হয়ে গেল এই পাখি খাঁচার বাইরে ওড়ে না। কিন্তু নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা খুশি।’
মানুষ নেই, পরিষেবা দিচ্ছে রোবট
গুয়াংঝৌ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জীবাণুনাশক রোবটকে কাজে লাগাচ্ছে চীন। আমেরিকায় রেস্তরাঁর খাবার ও মুদিখানার জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে ডেলিভারি রোবট। তিউনিশিয়ায় লকডাউন সফল করতে রাস্তায় নামানো হয়েছে পুলিস রোবট। রাস্তায় মানুষ দেখলেই সোজা গিয়ে অনুমতিপত্র দেখতে চাইছে সে। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চিকিৎসকদের সাহায্য করছে চীনা স্বাস্থ্য সহায়ক রোবট। কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীদের কাছে তারাই জল, খাবার ইত্যাদি পৌঁছে দিচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ফেস শিল্ড, পিপিই যাচ্ছে তাদের হাত দিয়ে।
লকডাউন না জেল, বিক্ষোভ মিশিগানে
সংক্রমণ ছড়াক, কিন্তু লকডাউন মানা যাবে না। স্লোগান উঠল সুদূর আমেরিকাতেও। মিশিগান শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে জানালেন, ‘আমরা কয়েদি নই’। কোভিড-১৯ হানায় ইতিমধ্যেই প্রায় দু’হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন আমেরিকার এই বিলাসবহুল শহরে। বাড়ছে আক্রান্তও। কিন্তু ভ্রূক্ষেপ নেই মানুষের। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সামাজিক সঙ্গরোধে একাধিক নির্দেশ জারি করেছিলেন মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার। তার প্রতিবাদে তুষারপাতের মতো দুর্যোগ মাথায় নিয়ে চলল বিক্ষোভ।
নোট-আতঙ্ক থেকে মুক্তি
টাকার নোট থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। এই আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে অনেকেরই। নোট থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ডাক্তারবাবুরাও। এই দুশ্চিন্তা দূর করতে অভিনব এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে আইআইটি রোপার। সেখানকার গবেষকরা বড় বাক্সের আকারে একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন। ওই বাক্সের মধ্যে মুদি-মশলার জিনিস বা নোট রাখলেই কেল্লা ফতে! মাত্র ৩০ মিনিটে আল্ট্রা ভায়োলেট জার্মিসাইডাল ইরেডিয়েশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্ত জিনিসকে জীবাণুমুক্ত করে দেবে যন্ত্রটি। খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে জীবাণুনাশক বাক্স। দাম মাত্র ৫০০ টাকা।
নেহাত কাকতালীয়
লকডাউনে একটা দারুণ কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে। গত ১৫ এপ্রিল ছিল চলচ্চিত্র পরিচালক হরিসাধন দাশগুপ্তর জন্মদিন। আর সেদিনই শহরে বৃষ্টি হল, ঝড় উঠল। হরিসাধন দাশগুপ্তর নাতি পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত সেই ঝড়-বৃষ্টির একটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করলেন। ঝড়ের ভিডিওর পিছন থেকে বিরসার স্ত্রী অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী ‘আজই ঝড়ের রাতে’ গানটি গেয়ে উঠলেন। সেই ভিডিওতে কমেন্ট করে কাকতালীয় ঘটনাটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিরসার মা চৈতালী দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘দারুণ কাকতালীয় বিষয়! হরিসাধন দাশগুপ্তর জন্মদিনে ঝড় উঠল আর নাতবউ তাঁর ছবিতে ব্যবহৃত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গান গাইল। নাতিবাবুর ভাবনাটা ভালো।’
লতাকে ফোন অনুপমের
লকডাউনের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় মানুষদের ফোন করে নিয়মিত খবর নিচ্ছেন অনুপম খের। এবার তিনি বলিউডের সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে ফোন করলেন। টানা কথা বললেন ন’মিনিট। ‘ভাগ্য ভালো ল্যান্ডলাইনে কলটা করতেই ফোনটা লতাজি নিজেই তুলেছিলেন। তারপরের কথোপকথনটা আমার কাছে আশীর্বাদ।’ আর লতা মঙ্গেশকরও অনুপমকে উপহার স্বরূপ ‘তু আশা বিশ্বাস হামারে’ গানের রেকর্ডিংয়ের ভিডিও পাঠিয়েছেন।
ঠিকানা ভুলেছেন আইপিএস!
হেডলাইনটা একদম ঠিক পড়ছেন। এই আইপিএসের নাম শালিনী সিং। তিনি দিল্লি পুলিসে ওয়েস্ট জোনের জয়েন্ট কমিশনার। তবে, স্মৃতিভ্রম হয়নি তাঁর। আসলে, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেই কর্তব্য পালন করছেন। পাশাপাশি, সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গরিব মানুষের মুখে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে, অধঃস্তনদের মনোবল বাড়াতেও সক্রিয় তিনি। জোরকদমে চলছে করোনা সচেতনতা প্রচারও। নিজের উদ্যোগে তৈরি করছেন মাস্কও। এই সব করতে গিয়ে ২০-২২ দিন পরও বাড়ি ফেরার সময় পাচ্ছেন না শালিনী। বললেন, বিশ্রাম পরেও নিতে পারব। 
শেষপাত
ঘুম এত বেড়ে গেছে যে, আজকাল মাঝে মাঝে স্বপ্ন রিপিট হতে শুরু করেছে, গতকাল দু’টো অ্যাডও এল!
53Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৩২ টাকা১১১.৮৭ টাকা
ইউরো৯১.২৫ টাকা৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা