নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এতদিন আন্দোলনের ভরকেন্দ্র ছিল আর জি কর হাসপাতাল। হাসপাতালের মূল ফটকের সামনেই অবস্থান মঞ্চেই দিনভর চলত স্লোগান। পড়ুয়াদের ভিড়ে সর্বদাই ঠাসা থাকত সেই জায়গা। আর সেই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছিল শহরের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে। এখন আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবন। সেখানেই চারদিন ধরে চলছে অবস্থান। কাজেই আর জি কর হাসপাতালের অবস্থান মঞ্চ এখন ফাঁকা। শুক্রবার বিকেলে দেখা গেল, বাস ভর্তি করে পড়ুয়ারা আর জি কর থেকে স্বাস্থ্যভবনে যাচ্ছেন আন্দোলন করতে। আর অবস্থান মঞ্চ তখন পুলিস আর রোগীর পরিজনদের বিশ্রামের স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
মাথার উপর বন বন করে পাখা ঘুরছে। আর সেখানে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন পুলিসকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা গেল, ভাড়া করা বাস বের হচ্ছে আর জি করের হস্টেলের দিক থেকে। সেই বাসের সামনে ঝোলানো একটি ফ্লেক্সে লেখা ‘বিচার চাই’। বাসবোঝাই পড়ুয়ারা চললেন স্বাস্থ্যভবন। একেবারে হাসপাতালের মধ্যেই জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ুয়া তুলল সেই বাস। বাসের গেটে দাঁড়িয়ে পড়ুয়ারাই ডেকে নিলেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সতীর্থদের।
কোথায় চললেন? জিজ্ঞেস করতে তাঁদের উত্তর, ‘স্বাস্থ্যভবন’। অবস্থান মঞ্চের ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল এসএসকেএম হাসপাতালেও। দুপুরবেলা রোগী আর পরিজনদের ভিড়ে কার্যত গিজগিজ করছিল হাসপাতাল চত্বর। আচমকা চারদিক কালো করে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। তখন মেডিসিন কাউন্টার, ওপিডিতে রোগীর লম্বা লাইন। ডাক্তারের অপ্রতুলতা বেলা বাড়লেও রোগীর লাইন কমাতে দেয়নি সেখানে। রোগীসহ পরিজনরা আশ্রয় নেন ওই অবস্থান মঞ্চের ত্রিপলের নীচে। আর জি করের অবস্থান মঞ্চ থেকে এসএসকেএমের মঞ্চ আয়তনে অনেকটাই বড়। তাই অনেক বেশি মানুষ ধরে সেখানে। রোগীর পরিজনরা বলছিলেন, একদিক থেকে ভালোই হল। এরকম বৃষ্টি এলে মানুষের দাঁড়ানোর জায়গা নেই। কাজেই এখানে দাঁড়ানোর জায়গা তৈরি হয়েছে। 
অবস্থান মঞ্চ তৈরি হয়েছে এনআরএস, মেডিক্যাল কলেজ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যালেও। সেসব স্থানেও অভিন্ন চিত্র। প্রতিবাদীশূন্য অবস্থান মঞ্চের দখল নিয়েছেন রোগীর পরিজনরা!