কলকাতা

তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে অনুন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্টেট জেনারেলের দাবি বাসিন্দাদের

সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: তারকেশ্বরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য সাধারণ এলাইজা মেশিন নেই তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনার ঘটলেও এব্যাপারে উদাসীন প্রশাসন। অমিল অ্যান্টি রেবিশ ভ্যাকসিন। এহেন গ্রামীণ হাসপাতালকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০১৯ সালেও একবার এই দাবি উঠেছিল। কিন্তু প্রশাসন তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেনি।
২০১৭ সালের ১ জুন তারকেশ্বরে মেডিক্যাল কলেজ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীকালে তারকেশ্বরের পরিবর্তে আরামবাগে তৈরি হয় মেডিক্যাল কলেজ। বাম আমলে তারকেশ্বরে ১০ থেকে বেড়ে ৬০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি হয়েছিল। এই হাসপাতালের উপর কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল হলেও গত ২৫ বছরে একটি শয্যাও বাড়েনি। অন্যদিকে, দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও পুণ্যার্থীর সংখ্যা। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী নিত্য পরিষেবা দিয়ে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ রোগী হয়। তারকেশ্বরের পাশাপাশি পুরশুড়া, ধনেখালি, হরিপাল ব্লকের বহু মানুষও আসেন এই গ্রামীণ হাসপাতালে।
প্রায় ৭০ বছর আগে রঘুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় আনুমানিক ২০ বিঘা জমি দান করেছিলেন হাসপাতাল তৈরির জন্য। ১০ শয্যা দিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল তারকেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। ৩৪ বছর আগে হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের পর তৎকালীন সরকার ধাপে ধাপে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০টি করেছিল। এর মধ্যে হরিপাল ও ধনেখালি ব্লকে ১০০ শয্যার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল তৈরি হলেও ব্রাত্য থেকে গিয়েছে তারকেশ্বর।
চলতি বছরে তারকেশ্বর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ জন। আর ব্লক এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬। সম্প্রতি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অশোক সিংহ রায় নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি আদতে ধনেখালির বাসিন্দা হলেও থাকতেন তারকেশ্বরে ছেলের কাছে। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না, তা জানতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল চুঁচুড়ায়। কারণ এখানে এলাইজা মেশিন নেই। সেই রিপোর্ট আসতেও বেশ কিছুদিন গড়িয়ে যায়। আসলে বেশ কয়েকটি স্যাম্পেল জমা হলে তবেই চুঁচুড়ায় সেগুলি পাঠানো হয়। অশোকবাবুর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। এখানে ডেঙ্গু আক্রান্তদের সঙ্গেই রাখা হচ্ছে অন্যান্য রোগীকে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে হাতেগোনা কয়েকটি সিজার হলেও কোনও শিশু বিশেষজ্ঞ নেই। ফলে সদ্যোজাতের কোনও সমস্যা হলে তা সামলানো দায় হয়ে পড়ে। অ্যান্টি র‌্যাবিশ ইঞ্জেকশন থেকে শুরু করে ব্লাড ব্যাঙ্ক কিছুই নেই এখানে। শৌচালয় থাকলেও তা অপরিচ্ছন্ন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে নার্সিং হোম ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি। অবিলম্বে আমরা ১০০ শয্যার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল তৈরির দাবি জানাচ্ছি। তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ১০০ শয্যার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পাশাপাশি এখানে প্রয়োজন একটি ব্লাড ব্যাঙ্কের। রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের ভরসা আছে। আশা করি আর্জিকে মান্যতা দেবেন তিনি।  নিজস্ব চিত্র
2d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৩ টাকা৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.৭২ টাকা১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো৮৬.৮১ টাকা৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা