নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডানার প্রভাবে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেব বলছে, এই দু’দিনে জেলায় গড় বৃষ্টিপাত ১৬০ মিলিমিটার। তাতে বেশ কিছু চাষের জমিতে জল জমলেও বেশিরভাগ জায়গায় তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে পুর এলাকার বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন।
জানা গিয়েছে, শুধু শুক্রবারই সাগরে ১৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা জেলার মধ্যে সর্বাধিক। মথুরাপুরে হয়েছে ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি। কৃষিক্ষেত্রে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানতে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্লকে পরিদর্শনে নেমে পড়েন আধিকারিকরা। বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়ার কারণে শুয়ে পড়েছে ধানগাছ। কিছু জমিতে জলও জমে রয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বাংলা শস্য বিমা নিয়ে প্রচার শুরু করা হয় এবং তাঁদের এই সংক্রান্ত ফর্ম বিলি করা হয়েছে। কৃষি আধিকারিকরা মনে করছেন, যেসব জায়গায় জল জমে রয়েছে, তা এক দু’দিনের মধ্যে নেমে গেলে বড় ক্ষতি হবে না। আগে ঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে দেখা গিয়েছিল, ঝোড়ো হাওয়া এবং প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে কটালের জেরে নদীবাঁধ টপকে নোনাজল ঢুকে ভাসিয়ে দিয়েছিল বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। কিন্তু এবারে সেই পরিস্থিতি হয়নি। গ্রামবাসী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলছেন, মরা কটাল থাকায় এবারে গ্রামগুলি সেই বিপদ থেকে রেহাই পেয়েছে।
জেলার পুরসভাগুলির মধ্যে মহেশতলার ৭, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০ থেকে ৩৫ নম্বর পর্যন্ত সব ওয়ার্ডে কমবেশি জল জমে রয়েছে। অনেক বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকেছে। অন্যদিকে, বারুইপুর পুরসভার ৩, ৪, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু জায়গায় জল জমে আছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও এদিন রাত পর্যন্ত জল জমেছিল। পুর প্রশসানের দাবি, আর বৃষ্টি না হলে, আজ, রবিবারের মধ্যে জল অনেকটা নেমে যাবে।