কলকাতা

শহরজুড়ে পুজোর আমেজ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গড়িয়াহাটের একডালিয়া, ত্রিধারা, হিন্দুস্থান পার্কের রাস্তায় মেলা বসেছে। ঝলমলে আলোর মাঝে হাসছেন ফুচকাওয়ালা, খেলনাওয়ালারা। ঠাকুর দেখতে এসে সেখানেই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। একটা কানের দুল, গলার হার, যা হয়তো না কিনলেও চলত। কিন্তু পছন্দ হয়েছে যে! এক মণ্ডপ থেকে আর এক মণ্ডপে আসতে নষ্ট হয়ে গেল ভেঁপু। আবার একটা কিনে নেওয়া। তৃতীয়ার দুপুর থেকেই শহর ভাসল পুজোর আমেজে। উত্তর-দক্ষিণের লড়াই দিয়েই। কেউ কেউ বলছেন, দক্ষিণে এখনও জমেনি পুজো। আর একটা যুক্তি হল, অনেকে উত্তর দিয়ে শুরু করে, পরে দক্ষিণে আসে। এই যুক্তি আদপে কতটা গ্রহণযোগ্য, তা সময় বলবে। তবে পুজোর মুখে শেষ রবিবার এগিয়ে রাখল উত্তরকেই। হাতিবাগান, নলিন সরকার স্ট্রিট, কাশী বোস লেনের মণ্ডপে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। দক্ষিণও অবশ্য খুব কম যায়নি। বেশ কিছু প্যান্ডেলের সদ্য উদ্বোধন হয়েছে, আর কয়েক জায়গায় রবিবার। তাও ঝাঁকে ঝাঁকে পুজোপ্রেমীরা হানা দিয়েছেন। আর ভরদুপুরে ফুচকা উদরস্থ করে উত্তর বনাম দক্ষিণের রেষারেষিও চলেছে একদল তরুণ-তরুণীর মধ্যে। 
উত্তরের টালা প্রত্যয়, টালা বারোয়ারি থেকে শুরু করে হাতিবাগান সর্বজনীন, হাতিবাগান নবীন পল্লি, কাশী বোস লেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। রাত যত বেড়েছে, পুজোর আমেজে ততই রং ধরেছে। তেলেঙ্গাবাগান, গৌরীবাড়ি, করবাগান, উল্টোডাঙ্গা সংগ্রামী, কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দের পুজোতেও ছিল নজর কাড়া ভিড়। দমদমের বাসিন্দা রথীন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত বছর সাড়া ফেলে দিয়েছিল নবীনপল্লির আবোল তাবোল পাড়া। এবার পুরনো কলকাতার আমেজ ফেরাতে সেখানেই দেখছি থিয়েটার পাড়া তৈরি করা হয়েছে। অনবদ্য ভাবনা।’ বিকেলে হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো মণ্ডপে এসেছিলেন সঞ্চিতা, রূপসা, মনোজিৎ, সুখেন্দুরা। তাঁদের কথায়, ‘কাশী বোস লেনে সতীদাহকে থিম করে হাতের কাজ চোখে ধাঁধা লাগাতে বাধ্য।’ হাতিবাগান নবীনপল্লির তরফে পুজো উদ্যোক্তা অমিতাভ রায় বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই এই ট্রেন্ড চলছে। উত্তরের সাবেকি পুজোগুলোকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে।’ হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো কর্তা শাশ্বত বসু বলেন, ‘উত্তরে জনতার ঢল নেমেছে। থিমের বিভিন্নতা পুজোর মানে উত্তর নতুন ট্রেন্ড সেট করেছে। তবে, ফোরামের সম্পাদক হিসেবে আমার কাছে উত্তর এবং দক্ষিণ সমান। সেখানেও ভিড় নিশ্চয়ই হবে। পুজো তো সবে শুরু।’ সোনারপুর থেকে হিন্দুস্তান পার্কে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন কলেজ পড়ুয়া সৌমিতা, স্বর্ণালীরা। বলছিলেন, ‘আজ দক্ষিণ দেখব। আগামী কাল উত্তরে যাব। এখানে একবারে একডালিয়া, সিংহী পার্ক, দেশপ্রিয় পার্ক, আর বেহালার দিকটাও দেখে নেব।’ ভেঁপু বাজাতে বাজাতে মানুষ আসছেন। এখনও তেমন নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই। পুলিসের ‘ডান দিক দিয়ে যান, বাঁদিক ধরুন’-এর ব্যাপার নেই। ফলত, আনন্দের সঙ্গে লোকজন ঘুরতে পারছেন। গড়িয়ার বাসিন্দা কুণাল মিত্র ত্রিধারায় এসে বলছিলেন, ‘সকালে আসি না, কারণ লাইটিং দেখা যায় না। সপ্তমীতে এলে তো দু’মিনিট দাঁড়াতেই দেয় না।’ 
গড়িয়াহাট থেকে চেতলা যেন কার্যত কার্নিভাল চত্বর। নতুন রঙিন জামা, পাটভাঙা শাড়ির আঁচলে ভেসে যাচ্ছে ফুটপাত। কোথাও গোল করে আগামীর ‘কর্মসুচি’ আলোচনা করে নিচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। সেই আলোচনা থেকেই সদ্য গোঁফ ওঠা তরুণ হয়তো দেখে নিচ্ছেন আগামীর সঙ্গীর চোখ। হাতিবাগান, শোভাবাজার, শ্যামবাজার কিংবা গড়িয়াহাট—সময় থমকে যাচ্ছে মণ্ডপমুখী লাল সিগন্যালে। তীব্র যানজটে ঘাম ঝরছে বাঙালির কপাল থেকে। তাতে কী? ‘শুধু ঘাম কেন, বৃষ্টিতে ভিজতে, রোদেও পুড়তে রাজি আছি। আর যাই হোক, পুজোয় ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না’... বাসে বসেই বলছিলেন কসবার ঐন্দ্রিলা কর। ত্রিধারার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জানালার দিকে তাকিয়ে প্রণামও সেরে নিলেন একবার।
1Month ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আকস্মিক বাধায় বিচলিত হতে পারেন। আর্থিক লেনদেনে বিশেষ সতর্ক হন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৩ টাকা৮৫.২৭ টাকা
পাউন্ড১০৭.৬২ টাকা১১১.৪০ টাকা
ইউরো৮৯.৩৬ টাকা৯২.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা