কলকাতা

ছাতা-রেনকোটে ভরসা করেই বাজারমুখী ক্রেতারা, স্লগওভারেও মুখে হাসি দোকানির

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি আসার কথা ছিল আজ শুক্রবার। বৃহস্পতিবার সকালের রূপ দেখেও টের পাওয়া যায়নি, বেলা বাড়তেই ‘রেনি ডে’ হয়ে যাবে গোটা দিন। আকাশজোড়া মেঘ দেখে বিক্রতাদের আশঙ্কা ছিল, স্লগ ওভারের কেনাকাটায় ভাটা পড়বে বৃষ্টিতে। কিন্তু সেই আশঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে পুজো শপিংয়ের জন্য বাজারমুখী হলেন ক্রেতারা। বিকেলের দিকে যে ভিড় দানা বাঁধছিল, সন্ধ্যার পর তা উপচে পড়ল দোকানে দোকানে। মুখে হাসি ফিরল ছোট এবং মাঝারি মাপের দোকানদারদের। চুটিয়ে ব্যবসা করলেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও। 
শনি-রবিবার দারুণ ব্যবসা করেছে কলকাতার তিনটি বড় মার্কেট। উত্তরের হাতিবাগান থেকে নিউমার্কেট হয়ে দক্ষিণের গড়িয়াহাটে চেনা ভিড় ছিল। কলেজ স্ট্রিট, থেকে শুরু করে গড়িয়ার মতো ছোট মার্কেটগুলিতেও ছিল নজরকাড়া ভিড়। গান্ধী জয়ন্তীতেও তার অন্যথা হয়নি। তবে পুজোর মুখে প্রতিদিনই ভালো কেনাবেচা হয়। বৃহস্পতিবারের ভিড় ছুটির দিনগুলির মতো থিকথিকে না-হলেও পুজোর বাজার ছিল চেনা ছন্দে। হাতিবাগানে এসেছিলেন সিঁথির রেখা কর্মকার। তাঁর ভাইকে উপহার দেওয়ার পাঞ্জাবি এখনও কেনা হয়নি। ছাতা মাথায় দিয়ে ন’শো টাকার একটি পাঞ্জাবির সঙ্গেই আড়াইশো টাকার পাজামা কিনেছেন। বৃষ্টি চললেও বাড়ি ফিরতে মন চাইছিল না তাঁর। জানালেন, হাঁটতে হাঁটতে শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর কাছে এসে একটি পুরনো চেনা দোকান থেকে বেডশিটও কিনেছেন। স্ট্যান্ডিং হ্যাঙ্গারে একসঙ্গে যে নাইটিগুলি ঝোলানো থাকে সেগুলি মোড়া ছিল প্লাস্টিকে। সেই আবরণ সরিয়ে দু’টি ম্যাক্সি কিনেছেন নিজের জন্য।
বৃষ্টির মধ্যে শেষ বিকেলে নিউমার্কেট চত্বরে স্কুল ও কলেজপড়ুয়াদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই স্কুল ড্রেসে মা-বাবার সঙ্গে এসেছিল বাজার করতে। পরনে রেনকোট। লিন্ডসে স্ট্রিটের ধার ঘেঁষে সারি দেওয়া জামাকাপড়ের পসরা থেকে বৃষ্টির জল সামলে কেনাকাটা চলল দেদার। তুলনায় কিছুটা কম ভিড় ছিল হগ মার্কেটের ভিতরের দোকানগুলিতে। বরং এস এন ব্যানার্জি রোডের উপর একাধিক শপিং মলে কেনাকাটা চলল চুটিয়ে। ভিড় সামলাতে এদিনও পুলিসকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ধর্মতলার পাঁচতারা হোটেলের সামনের রাস্তায় যানবাহনের গতি রুখতে আর ক্রেতাদের পথচলার শবক শেখাতে নাজেহাল হচ্ছিলেন তাঁরা। কিছু ক্রেতার ট্যক্সি ধরে দেওয়ার আবদারও মেটালেন পুলিস কর্মীরা।
গড়িয়াহাটের যে-ক’টি নামজাদা দোকান আছে, তার অনেকগুলিতেই শনি-রবির ভিড়ের চাপে ঠিকঠাক কাজ করেনি এসি। গলদঘর্ম হয়েই পছন্দের শাড়ি ব্যাগে পুরতে হয়েছিল ক্রেতাদের। অনেকেই আক্ষেপ করেছিলেন, সময় নিয়ে আরও কিছু শাড়ি দেখেশুনে কেনা গেল না। সেই খেদ মিটিয়ে বৃহস্পতিবার চুটিয়ে কেনাকাটা করলেন অনেকেই। সন্ধ্যার পর দোকানগুলিতে ক্রেতাদের চাপ বাড়ল অনেকটাই। তা খুশি করল ক্রেতাদেরও। আর দিনকয়েক এই পরিস্থিতি চললে আক্ষেপের কোনও জায়গা থাকবে না। 
বৃষ্টি মাথায় ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার নিউ মার্কেটে তোলা নিজস্ব চিত্র। 
2Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা