বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা

‘উৎসবে ফিরতে হবে না, এবার হাসপাতালে আসুন’, ক্ষোভ মুর্শিদাবাদের রোগীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রখর রোদে প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুর্শিদাবাদের নাজবুলবাবু। ঘামছেন দরদর করে। ছাতাটা খুলে বললেন, ‘অনেকক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে আছি। আর পারছি না। বয়স হয়েছে তো!’ ইএনটি বিভাগের মূল দরজা থেকে রোগীর লাইন অর্থোপেডিক ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে সেই গাছের সামনে। প্রায় একই অবস্থা কার্ডিওলজি বিভাগের। সেখানেও লম্বা লাইন। কতক্ষণ দাঁড়িয়ে? জিজ্ঞেস করতেই শুধু বিরক্তিসূচক শব্দ করলেন বৃদ্ধ। ইউএসজির ডেট নিতে আসা মুর্শিদাবাদের আর এক রোগীর বক্তব্য, ‘সবই তো হচ্ছে। মাঝখান থেকে ভুগছি আমারা। ঘণ্টা দু’য়েক লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখালাম। ওরা বলছে, উত্সবে ফিরবে না। সে ভালো কথা। ফিরতে হবে না। অন্তত হাসপাতালে ফিরুক! এটুকুই চাইছি।’
বৃহস্পতিবারের প্রবল গরমে দুপুরের দিকে কার্যত নাকানিচোবানি খেলেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। তার মধ্যে ওপিডিগুলোতে দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হল। অভিযোগ সেই একই, ‘ওপিডিগুলোতে ডাক্তারবাবুদের সংখ্যা অনেক কম।’ কর্মবিরতির জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্যভবন চত্বরে অবস্থান করছেন। আর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখাচ্ছেন রোগীরা। এখানেই শেষ নয়, বর্ধমান থেকে বাবা আখতার মোল্লাকে নিয়ে এসএসকেএমে এসেছিলেন আব্দুল সামিনুল। কৃষক পরিবারের সদস্য আখতারের মাথায় রক্ত ক্লট বেঁধেছে বেশ কয়েকদিন আগেই। সামিনুল বলছিলেন, ‘বাবা তো প্রায় সপ্তাহ খানেক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকেই বলল, কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে।’ এর মাঝে একদিন বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা কমছে না। উল্টে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ এসএসকেএমে এসেছিলেন ওঁরা। জরুরি বিভাগের সামনে ট্রলিতে শুয়ে আখতার সমানে মাথায় ঘুসি মারছেন... যন্ত্রণায়। আর সামিনুল বলছিলেন, ‘কোনওভাবে কি ভর্তি করানো সম্ভব? একটু দেখুন না!’ তাঁর আক্ষেপ, ‘সকালে প্রথমে ইমার্জেন্সিতে এলাম। বলল, সার্জারিতে যান। গেলাম। ওখানে দেখে আবার বলল ইমার্জেন্সিতে আসতে। এখান থেকে আবার কোথায় একটা পাঠাল। আমরা তো বাইরে থেকে এসেছি। এতসব জানিও না। এখন আবার ইমার্জেন্সির সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছি। বলছে, ভর্তি নেওয়া যাবে না।’ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনভর হাসপাতালের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত মায়ের সঙ্গে ঘুরে চলেছেন সামিনুল। ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা বাবাকে। নিরাপত্তারক্ষী এসে তাঁদের বলছেন, ট্রলি নিয়ে সাইডে দাঁড়ান। বিরক্ত হয়ে সামিনুল বলছিলেন, ‘এই কর্মবিরতির জন্যই নাকি এত সমস্যা হচ্ছে। আমরা তো গ্রামের লোক। এত ভোগান্তি নেব কেন?’ 
একাধিক রোগীর এই একই অভিযোগ—ইমার্জেন্সিতে নিয়ে এলেই এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং ঘুরতে বলছে। তবে এদিন এসএসকেএমের অ্যাডমিশন কাউন্টারেও ভিড় দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকেজন রোগীর আত্মীয় জানিয়েছেন, রোগীদের ভর্তি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোগান্তি? কমছে না। 
3Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৩ টাকা৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.০৫ টাকা১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো৮৭.৩০ টাকা৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা