বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

ত্রিস্রোতা মহাপীঠের মাহাত্ম্যে 
দিন দিন বাড়ছে ভক্ত সমাগম

নির্মাল্য সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বদলে গিয়েছে তিস্তা নদীর গতিপথ। কিন্তু, আজও স্বমহিমায় মাহাত্ম্য বিস্তার করে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলা সদরের ত্রিস্রোতা মহাপীঠ। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া সাতকুড়া গ্রামে অবস্থিত এই মহাপীঠ দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। যেখানে মা গর্ভেশ্বরী ও মা গর্তেশ্বরী নিত্যপূজিতা। গত ২১ মার্চ থেকে মহাপীঠে শুরু হয়েছে বার্ষিক উৎসব। চলবে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। বসেছে মেলাও। উৎসব উপলক্ষ্যে চলছে শ্রীচণ্ডীর মহাযজ্ঞ। 
মা গর্ভেশ্বরী ও মা গর্তেশ্বরীর দু’টি মূর্তি কষ্টিপাথরের। মা গর্ভেশ্বরী মা দুর্গার আদি রূপ বলে মনে করা হয়। মা এখানে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারিণী। তাই ভক্তরা মা গর্ভেশ্বরীকে বছরের বিভিন্ন তিথিতে, দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী রূপে পুজো করেন এখানে। মন্দিরে যা উপাচার পালিত হয় সবই বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির নিয়মমতে। দ্বিহস্ত বিশিষ্ট মা গর্তেশ্বরী দেবীর গলায় বিচিত্র ভ্রমর যুক্ত মালা আছে। কথিত আছে মা গর্তেশ্বরী অরুণ নামে এক দৈত্যকে পরাস্ত করেছিলেন। ওই মালা থেকেই ভ্রমর বেরিয়ে ওই দৈত্যকে হুলে বিদ্ধ করে। অবশেষে বধ করেন ওই দৈত্যকে। 
ত্রিস্রোতা মহাপীঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিশ চন্দ্র রায়ের কথায়, এই মহাপীঠকে নিয়ে বহু কাহিনী, লোকশ্রুতি আছে। সেইসঙ্গে এই মহাপীঠ দীর্ঘ গণ আন্দোলনের সাক্ষী। প্রতিষ্ঠা কবে হয়েছিল তা অজানা। তবে অন্তত ৫০০ বছর আগেও এই স্থানেই মা গর্ভেশ্বরী ও মা গর্তেশ্বরী পূজিত হতেন। মন্দিরটির পুজোআচ্চা, খরচ চলত বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ি থেকেই। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সাল নাগাদ নাবালক রাজা প্রসন্নদেব রায়কতের অভিভাবক জগদিন্দ্রদেব রায়কত নাউতারি দেবোত্তর মৌজার জমির অংশ বিশেষ দেবস্থান ও অবশিষ্ট ৪৪৬ একর জমি দেবী গর্ভেশ্বরীর নামে দেবোত্তর করে দেন। কিন্তু, দেশভাগ সহ পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ জমি দখল হয়ে গিয়েছে। বাকি প্রায় ২৫ থেকে ২৬ বিঘা জমি এখনও মন্দির কমিটির হাতে আছে। ওই জমির মধ্যেই এখন মন্দির সহ মেলার মাঠ, পার্ক, একটি মুক্তমঞ্চ, অতিথিশালা, ভোজনালয় তৈরি হয়েছে। যার কিছুটা ভক্তদের দানের টাকায় ও বেশিরভাগ অংশই শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অর্থানুকূল্যে তৈরি হওয়া। অতিথিশালাটি তৈরি হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মনের সাংসদ কোটার টাকায়।  মহাপীঠ কমিটির সভাপতি অন্নকান্ত দাস, সম্পাদক সুব্রত কুমার ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ ককেন চন্দ্র রায়, সারদাপ্রসাদ দাস বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হওয়ার পর দক্ষিণ বেরুবাড়ি অঞ্চল প্রথমে পূর্ব পাকিস্তানে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, দক্ষিণ বেরুবাড়ির মানুষ ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই ভূমির দখল কাউকে নিতে দেয়নি। পরবর্তী সময় ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী  মনমোহন সিংয়ের চুক্তি হয়। তাতেই এই অঞ্চল ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়।  ছবি: দিলীপ রায়

30th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ