নয়াদিল্লি: বন্ধু মারা গিয়েছেন। সেই শোকের আবহে বন্ধুর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির এক সরকারি আধিকারিক। বন্ধুর কিশোরী কন্যাকে নিজের বাড়িতে রেখে দেখভালের কথা জানালেন তিনি। তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয় পিতৃহারা কিশোরীর পরিবার। কিন্তু এর পিছনে যে ওই আধিকারিকের কোনও অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁদের কেউই।  কিশোরীকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে স্বমূর্তি ধরেন ওই সরকারি আধিকারিক।  সেখানে তিনি নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এরফলে এক সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। স্বামীর এই অপকর্ম ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন ওই আধিকারিকের স্ত্রী।  তাঁর সহায়তায় কিশোরীর গর্ভপাত করা হয়। এরপর কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ এবং পকসো আইনে অভিযুক্ত আধিকারিক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিস।
জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। ২০২০ সালে তার বাবার মৃত্যু হয়। তারপর মাকে ছেড়ে বাবার বন্ধু তথা দিল্লির মহিলা ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রবীণ আধিকারিকের উত্তর দিল্লির বাড়িতে চলে আসে সে।  আধিকারিকের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গেই কিশোরী থাকতে শুরু করে। এরইমধ্যে ২০২০-২১ সালের মধ্যে বারবার ধর্ষণের জেরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। কিশোরী জানিয়েছে, একথা জানার পর ছেলেকে গর্ভপাতের ওষুধ আনতে বলেন আধিকারিকের স্ত্রী। সেই ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। এরপর মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তার মা। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ওই আধিকারিক ও তাঁর পরিবারের কুকীর্তি সামনে আসে।  ঘটনার দু’বছর পরে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন কিশোরীর মা। এরপরেই আধিকারিক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।