রাজ্য

প্রাথমিকেও সেমেস্টার, বদল হবে সিলেবাসেও

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দাদা-দিদিদের জন্য চালু হয়েছিল আগেই। এবার খুদেরাও স্কুলের পরীক্ষা দেবে সেমেস্টার ধাঁচে। নয়া শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়নে আমূল পরিবর্তন আনল সরকার। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নয়া পদ্ধতিতে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হবে। পোশাকি নাম—‘ক্রেডিট বেসড সেমেস্টার সিস্টেম’। থাকছে ক্রেডিট স্কোরও। কোনও পড়ুয়া একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য কতক্ষণ ক্লাস করছে, তার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় ক্রেডিট স্কোর। এর সঙ্গে অবশ্য সরাসরি লিখিত পরীক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই। শেখার জন্য ব্যয় করার সময়ের ভিত্তিতেই একজন পড়ুয়া এই ক্রেডিট স্কোর পায়।
শিক্ষামন্ত্রকের তরফে ২০২২ সালে প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষার জাতীয় ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কের ভিত্তিতে এই নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে অবশ্য পুরনো সিলেবাসের উপরেই পরীক্ষা হবে। ২০২৬ সালে বদলানো হবে পাঠ্যক্রম। নয়া ব্যবস্থা অনুযায়ী, শিক্ষাবর্ষকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম সেমেস্টার হবে জানুয়ারি-জুন, ৪০ নম্বরে। দ্বিতীয় সেমেস্টার জুলাই-ডিসেম্বর। এই পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। নয়া ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষকদের পরিচিত করতে শীঘ্রই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 
জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিকস্তরে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করার কোনও কথা উল্লেখ নেই। রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও এমন কিছু বলা হয়নি। তাহলে প্রাথমিকে এই পদ্ধতি চালুর কারণ কী? পর্ষদ সভাপতির ব্যাখ্যা, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই তৈরি করা হবে পড়ুয়াদের। তাই এই সিদ্ধান্ত। নয়া মূল্যায়নে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা লিখিত আকারে হবে না। এর মধ্যে ২০ নম্বর থাকবে পড়ুয়াদের উপস্থিতি, ক্লাসে আচরণ ইত্যাদির উপর। বাকি ২০ নম্বর বিচার করা হবে বিভিন্ন প্রজেক্টের ভিত্তিতে। অবশ্য ৬০ নম্বরের পরীক্ষা পুরোটাই হবে লিখিতভাবে। তবে সেখানেও বদল আনা হয়েছে। এবার থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব আর স্কুলের হাতে থাকছে না। সেই দায়িত্ব নিচ্ছে পর্ষদই। গোটা রাজ্যে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। তবে খাতা দেখবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরাই।
নম্বরের পাশাপাশি রিপোর্ট কার্ডে পড়ুয়াদের জন্য থাকছে ‘ক্রেডিট স্কোর’ও। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য প্রত্যেক বছর মোট ৪০০ ঘণ্টা ক্লাসের সময় ঠিক করা হয়েছে। তার উপর দেওয়া হবে এই নম্বর। সর্বোচ্চ ক্রেডিট স্কোর স্থির হয়েছে ১৩.৫। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বছরে ক্লাস নেওয়া হবে ৫০০ ঘণ্টা। এই তিন শ্রেণির জন্য সর্বোচ্চ স্কোর রাখা হয়েছে ১৬.৫। অর্থাৎ, একজন ছাত্র বা ছাত্রী কতক্ষণ ক্লাসে থাকছে, তার উপর ভিত্তি করে স্কোর দেবেন শিক্ষকরা।
গোটা বিষয়টি নিয়ে কী বলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি? শিক্ষাবর্ষ শুরুর কয়েকদিন আগে এই সেমেস্টার ব্যবস্থার ঘোষণার ফলে শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজেপি প্রাথমিক শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক পিন্টু পাড়ুইয়ের। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর বক্তব্য, ‘হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড যেভাবে দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে এই ব্যবস্থার অনেকটা পরিবর্তন করতে হবে।’
14h 14m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৭৩ টাকা৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৭ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.৪৫ টাকা৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা