রাজ্য

ত্রিপুরা-মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে ২৫০ কেজির বেশি আরডিএক্স ঢোকাতে মরিয়া বাংলাদেশি জঙ্গিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশের চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে নোঙর করা জাহাজ ‘এমভি আল বখেরা’ সারের বস্তার আড়ালে ২৫০ কেজিরও বেশি আরডিএক্স এবং অস্ত্রশস্ত্র চাপিয়ে নিয়ে এসেছিল বলে নিশ্চিত হয়েছেন এপারের গোয়েন্দারা। গত ২২ ডিসেম্বর ৭২০ টন সার চাপিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাফকো জেটি থেকে জাহাজটি রওনা দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে। গোয়েন্দারা বলছেন, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ এর কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রামে এসে ভিড়েছিল। সেই জাহাজে বাংলাদেশের জন্য সার রয়েছে বলে দাবি করা হলেও, তাতে বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। ‘আল বখেরা’ পাকিস্তানের সেই জাহাজের ‘মালপত্র’ নিয়েই রওনা দিয়েছিল। তাঁরা বলছেন, চাঁদপুরের হাইমচরে ওইদিন রাতে নোঙর করার কথা ছিল না জাহাজটির। সিরাজগঞ্জ যাওয়ার পথে পণ্যবাহী জাহাজ সাধারণত ঢাকার উপকন্ঠে নোঙর করে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট সেই রুট এড়িয়ে কেন ‘আল বখেরা’ সিরাজগঞ্জ থেকে ২৩৫ কিমি এবং ঢাকা থেকে ১১১ কিমি দূরে চাঁদপুরের প্রত্যন্ত হাইমচরে নোঙর করল, তা থেকেই সন্দেহ শুরু হয় গোয়েন্দাদের। হাইমচর এলাকাটি ভারতের ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তের খুব কাছে। সীমান্ত লাগোয়া কোনও ‘স্ট্যাক ইয়ার্ডে’ ওই বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জোরদার খোঁজখবর চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।  
অসম পুলিসের এসটিএফের এক আধিকারিকের বক্তব্য, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’এর পাঠানো ‘কনসাইনমেন্ট’ নির্বিঘ্নে নামিয়ে নিতেই প্রত্যন্ত হাইমচরে নোঙর করা হয়েছিল। আমাদের কাছে ‘ইন্টেল’ এসেছিল, উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও অসমে বড়সড় কোনও নাশকতা ঘটাতে ‘কনসাইনমেন্ট’ পাঠাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে সমস্ত এজেন্সি, সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর মণিপুরে জাতি বিদ্বেষকে ঘিরে শুরু হওয়া অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গিদের সঙ্গে ‘সখ্য’ বেড়েছে আইএসআই এবং তাদের বাংলাদেশি দোসর এবিটি, জেএমবি, হিজবুত তাহিরের মতো সংগঠনের। ইউনুস এবং তাঁর সরকারের সহযোগীরা বারবার হুমকি দিচ্ছে, সেভেন সিস্টারকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার। সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের ‘খসড়া’ই হল, চাঁদপুরের জাহাজ থেকে আরডিএক্স এবং অস্ত্রশস্ত্র নামানো। 
যে জাহাজে চাপিয়ে আরডিএক্স ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হল, তাহলে কেন খুন করা হল তার ‘মাস্টার’ সহ সাতজন নাবিককে? আর কেনই বা এই খুনের ‘দায়’ স্বীকার করা জাহাজেরই এক কর্মী বাগেরহাটের চিতলমারির আকাশ মণ্ডলকে বারবার বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সামনে এনে বলাতে হচ্ছে, আটমাস বেতন না মেলায় রাগে-ক্ষোভে সে’ই খুন করেছে মাস্টার গোলাম কিবরিয়া সহ  বাকি সহকর্মীদের? এপারের গোয়েন্দারা বলছেন, আকাশ মণ্ডলের স্বীকারোক্তি, সাতুট খুনের অভিযুক্তকে নিয়ে যেভাবে ফটোসেশন চলছে এবং যেভাবে এই ঘটনা নিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) দিয়ে প্রেস ব্রিফিং করানো হয়েছে, তাতেই স্পষ্ট ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ রয়েছে। টিভি সাংবাদিকদের আকাশ মণ্ডল বলছে, বেতন না পেয়ে মাস্টারের উপর সে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়েছিল। তাই রাতের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সে সবাইকে অচৈতন্য করেছিল। তারপর কুড়ুল দিয়ে সবার গলা কেটে দেয়। খুনের পর সে অন্য একটি নৌকোয় চেপে পালিয়ে যায়। এপারের গোয়েন্দারা বলছেন, যদি 
একজন ব্যক্তির উপর রাগ থাকে, তাহলে বাকি সহকর্মীদের খুন করা কেন! সবাই যদি অচৈতন্য হয়েই যায়, তাহলে গোলাম কিবরিয়াকে খুন করে আকাশ তো এমনিতেই পালিয়ে যেতে পারত। গোয়েন্দা সূত্রটি বলছে,  আরডিএক্স-অস্ত্রশস্ত্র বহনের সাক্ষী আর সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই পূর্ব পরিকলিপ্ত এই খুন। সত্য গোপন করতে আকাশ মণ্ডলকে ‘শিখণ্ডী’ করা হয়েছে মাত্র।       
15h 15m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৪৩ টাকা৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.১৭ টাকা১০৮.৯১ টাকা
ইউরো৮৭.০৬ টাকা৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা