দেশ

বিদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং! দিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন

নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর: বিদায় মনমোহন সিং। আজ, শনিবার দিল্লির নিগমবোধ শ্মশান ঘাটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবার পরিজন, বন্ধু, সহকর্মী এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। নিগমবোধ শ্মশান ঘাটে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধ জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অন্যান্যরা। কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি নিগমবোধ শ্মশান ঘাটে মনমোহনকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শনিবার সকালে দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রধান কার্যলয়ে নিয়ে আনা হয় প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নশ্বর দেহ। সেখানে কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। এছাড়াও এদিন সকালে অসংখ্য মানুষ জমায়েত হন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।    
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি হন মনমোহন। ওই দিন রাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৮২ সালে ইন্দিরা সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করেন। মেয়াদ শেষে মনমোহন চলে যান সুইজারল্যান্ড। যোগ দেন জেনিভার ইকনমিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সাউথ কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল পদে। দেশে ফেরেন ১৯৯০-এর নভেম্বরে। প্রথমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের আর্থিক উপদেষ্টা, আর তারপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান। চিত্রনাট্যে টুইস্ট ওই বছরেরই জুন মাসে। প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি গেলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। বললেন, ‘আপনাকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হবে।’ ভারত বোধহয় ওই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষাতেই ছিল। জন্ম নিল রাও-মনমোহন মডেল। দেশে প্রবেশ করল উদার অর্থনীতি। সেই ছিল নতুন ভারত।
বাজপেয়ি জমানার অবসানের পর ইউপিএ যখন ক্ষমতায় এল, রাজনৈতিক মহল সোনিয়া গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের বিষয়ে নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু না। সবাইকে চমকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ঘোষণা হয়েছিল মনমোহনের নাম। ২০০৪ থেকে ’১৪—দশ বছর দেশের প্রশাসনিক প্রধানের পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি। আর সেই সঙ্গে ভারত দেখেছে একের পর এক সামাজিক সংস্কার। তথ্য জানার অধিকার আইন, ১০০ দিনের কাজ, শিক্ষার অধিকার, খাদ্য সুরক্ষা বিল... মনমোহন জমানায় জনমোহিনী পদক্ষেপ ছিল অন্তহীন। কৃষিঋণ মকুব করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে চরম মন্দার সময়ও আগলে রেখেছেন দেশের অর্থনীতিকে। অনড় অবস্থান বজায় রেখে পরমাণু চুক্তিও সম্পন্ন করেন মনমোহন সিং।
সংসদীয় রাজনীতিতে বরাবরই তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। চলতি বছরের এপ্রিলে অবসর নেন এই পদ্মবিভূষণ ব্যক্তিত্ব। শীর্ষপদে থাকাকালীন বহুবার অসম্মানিত হয়েছেন। শুনতে হয়েছে ‘সোনিয়ার পুতুল’ কিংবা ‘মৌন মোহন’-এর মতো কটাক্ষ। তাও সৌজন্যের গণ্ডি পেরননি তিনি। ৯২ বছর বয়সে... শেষদিন পর্যন্তও না। ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, ‘আজ আমাকে মিডিয়া সুবিচার দেয়নি। একদিন ইতিহাস নিশ্চয়ই দেবে।’ বিশ্বাস ছিল তাঁর ইতিহাসে। আর ইতিহাসের? মনমোহন সিংয়ের কর্মকাণ্ডে।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৭৩ টাকা৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৭ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.৪৫ টাকা৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
28th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা