দেশ

মনমোহনের গড়া ভিতেই এগিয়েছে নরেন্দ্র মোদির আমলের বিদেশনীতি

নয়াদিল্লি: পুরাতনের ছাঁচেই নতুনের ঢালাই! মনমোহন সিং জমানায় গড়া ভিতেই গড়ে উঠেছে নরেন্দ্র মোদি জমানার বিদেশ নীতি।
দ্বিমেরু গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বমুখী নীতি। বর্তমান বিদেশ নীতির এই বীজ বপন হয়েছিল মূলত মনমোহন জমানাতেই। গত শতাব্দীর নয়ের দশকের পর থেকে প্রধানত দু’টি ঘটনা ভারতকে বিশ্বের দরবারে উদীয়মান শক্তির মর্যাদা এনে দিয়েছিল। এই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমূল বদল আসে বিদেশ নীতিতেও। প্রথমটি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও জমানায় ১৯৯১ সালের আর্থিক সংস্কার। আর রাও সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার ভাগীরথ ছিলেন মনমোহন সিং। দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির আমলে। পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণ। বাজপেয়ির সেই কাজকেই উত্তরসূরি হিসেবে নয়া ছাঁচ দেন মনমোহন। দেশের পরবর্তী বিদেশনীতি সেই ছাঁচেই বর্তমানের রূপ পেয়েছে।
বাজপেয়ি জমানায় পোখরান বিস্ফোরণের পর থেকে ভারতীয় বিদেশনীতির সামনে চ্যালেঞ্জটা বহুগুণ বেড়ে যায়। মনমোহন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিশ্বকে বোঝানো যে, ভারত ‘দায়িত্বশীল’ পরমাণু শক্তিধর দেশ। সেই পথে গুরুত্বপূর্ণ ছিল নিউক্লিয়ার সাপলায়ার্স গ্রুপের (এনএসজি) কাছ থেকে ক্লিনচিট আদায়। আর সেই ক্লিনচিট আদায়ে সাফল্য ভারতীয় ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। সেই সাফল্যের হাত ধরেই মনমোহন জমানায় আমেরিকার সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি কার্যকর হয়। দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানির রাস্তা মসৃণ করতে সেই চুক্তিকে কেন্দ্র করে নিজের সরকারের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে বাজি ধরতেও পিছুপা হননি তিনি। আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত দর কষাকষির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্মসচিব (আমেরিকা বিষয়ক) তথা বর্তমান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আমেরিকাকে দিয়ে সূত্রপাত হওয়ার পর বর্তমানে ভারতের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্তিনা, কাজাখস্তান, মোঙ্গোলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, শ্রীলঙ্কা ও নামিবিয়ার সঙ্গে।
দ্বিমেরু বিশ্বের গণ্ডি (ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে আমেরিকা-সোভিয়েত রাশিয়া, বর্তমানে আমেরিকা-চীন) ছাড়িয়ে ‘বৃহত্তর যোগাযোগে’র যে পরম্পরা শুরু হয়েছিল বাজপেয়ি জমানায়, মনমোহন তাকে সুনির্দিষ্ট দিশা দেখান। মোদি জমানায় সেই রীতিতেই বিদেশনীতি অগ্রসর হয়েছে। তবে দুই পূর্বসূরি পাকিস্তানের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও মোদি জমানায় তা পুরোপুরি ব্রাত্য। শুধু আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন নয়, মনমোহন জমানায় জাপান সহ পূর্বের দেশগুলির সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতি আসে। মনমোহন জমানায় যা ছিল ‘লুক ইস্ট’ নীতি, সেটাই আজ মোদি জমানায় ‘অ্যাক্ট ইস্ট’। লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে মৈত্রীর যে পরম্পরা শুরু হয়েছিল মনমোহন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, মোদি আমলে সেটাই ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ’ নামে প্রচার পাচ্ছে।
মনমোহন সিংকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। -পিটিআই
14h 14m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৭৩ টাকা৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৭ টাকা১০৯.০৯ টাকা
ইউরো৮৭.৪৫ টাকা৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা