মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
হুগলির ধনেখালির ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামের শতভিষা পাবলিক স্কুলের কর্ণধার ড. হারাধন মান্না বলেন, ‘এখন যুগ বদলেছে। গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকরাও ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াতে চান। অধিকাংশ পরিবারই এখন নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। তাই সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করার জন্য অভিভাবকদের সময়, অধ্যাবসায়, অর্থ ব্যয়ের সুযোগ বেড়েছে। কিছুটা কষ্ট করে হলেও তাঁরা তাই সন্তানের পিছনে টাকা খরচ করতে পিছপা হচ্ছেন না। আমাদের স্কুলের বেতন মধ্যবিত্তের কথা ভেবে ধার্য করা হয়েছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত সিআইএসসিই অনুমোদিত এই স্কুলে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ, আইসিএসই পরীক্ষা তো বটেই, আইএসসি পরীক্ষা দিয়ে একেবারে কলেজে ভর্তি হতে পারে পড়ুয়ারা।’ এই স্কুলের ওয়েবসাইট বলছে, নার্সারি থেকে কেজি টু পর্যন্ত মাসিক ৮০০ টাকা ফি। মোটামুটি একটি ক্লাস অন্তর ১০০ টাকা ফি বাড়ে। নবম এবং দশম শ্রেণির ফি মাসিক ১৪০০ টাকা। একাদশ এবং দ্বাদশে সেই ফি বিজ্ঞান বিভাগে মাসিক ২০০০ টাকা এবং কমার্স ও আর্টসের ক্ষেত্রে মাসিক ১৬০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকরা ইংরেজিতে তেমন দড় নন। তাই পড়ুয়াদের জন্য হস্টেলের ব্যবস্থা আছে। হুগলির বিভিন্ন প্রান্তের ও বর্ধমানের পড়ুয়ারা হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। আর ডে স্কলার বা আবাসিক পড়ুয়ার অধিকাংশই গ্রামীণ বা আধা শহর এলাকার। মালিয়া, হরিপাল থেকে সহজেই স্কুলটিতে পৌঁছন সম্ভব। প্রত্যেক বছর পাশের হার ১০০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পায় বহু পড়ুয়া।
সিঙ্গুরের স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের কর্ণধার মানস ঘোষ জানান, ‘একেবারে প্লে গ্রুপ থেকে এখানে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে বেরনো যাবে।’ জানা গিয়েছে, এই স্কুল সিবিএসই অনুমোদিত।
স্বামীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত স্কুলের সবই কড়া অনুশাসনে বাঁধা। বেতন সাধ্যের মধ্যে। সন্তানের বয়স তিন বছর বা তার বেশি হলেই প্লে স্কুলে ভর্তি করে দিতে পারবেন অভিভাবকরা। চার বা তার বেশি বয়সের পড়ুয়াদের নার্সারি, পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হওয়া যাবে। আর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স বোর্ড নির্বিশেষে ছ’বছর বা তার বেশি। আধা শহর এলাকার স্কুলগুলির বিশেষত্ব হচ্ছে, সবুজে ঘেরা নিরিবিলি ক্যাম্পাস, খেলার মাঠ। শহরাঞ্চলের স্কুলগুলিতে জায়গার অভাবে এসব মেলা কঠিন।
ইংরেজি মাধ্যম মানে সিবিএসই বা আইসিসিএসই স্কুলই শুধু নয়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত বিদ্যালয়ও আছে। এ রাজ্যের স্কুল সিলেবাস এখন অনেক আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত। সর্বভারতীয় মানের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নয় বলেই শিক্ষাবিদরা দাবি করেন। তাই পর্ষদ অনুমোদিত স্কুলের জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে সিঙ্গুরের এসএন মল্লিক রোডের স্টারল্যান্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলকে। একেবারে প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুবিধা রয়েছে ‘আইএসও ৯০০১:২০১৫’ শংসাপ্রাপ্ত স্কুলটিতে। অর্থাৎ, একেবারে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বেরতে পারবে পড়ুয়ারা। এ বছর ২০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে স্কুল থেকে। তিন বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অনুমোদন পেয়েছে স্কুলটি।