মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
মেধা
সাধারণ হিসেবে ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ছেলেমেয়ে ভালো র্যাঙ্ক করবে এই আশায় বাবা-মায়েরা সিবিএসই-র অধীন স্কুলে ভর্তি করান। আপাতভাবে এই বোর্ডের পড়ুয়ারাই তুলনায় কিছুটা বেশি সফল, একথা ঠিক। তবে পরিসংখ্যান বলছে, সিআইএসসিই-র সিলেবাসে পাস করা পড়ুয়ারা কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। রাজ্যের তথ্য ধরলে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীন স্কুলগুলি থেকেও প্রচুর ছেলেমেয়ে ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পায়। তাই একথা অনস্বীকার্য, মেধা থাকলে নির্দিষ্ট পড়ুয়া কোন বোর্ডে বা কাউন্সিলে পড়ছে তা আসল নয়। এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার বিদ্যুৎ মজুমদারের বক্তব্য, ‘মেধাতালিকার ভিত্তিতে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানজেমেন্টে ভর্তি নেওয়া হয়। পরে চাকরি পাওয়ার জন্য সব ছাত্রছাত্রীকে আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আলাদা করে সিবিএসই বা আইসিএসই এরকম কোনও পছন্দ আমাদের নেই। একথা বলা যায় ইংরেজি মাধ্যমের তুলনায় বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের জড়তা একটু বেশি। তবে গ্রুমিংয়ের পর সবাই ঠিক হয়ে যায়।’
তুলনা
দিল্লি কেন্দ্রীক দুই সংস্থার অধীন কলকাতার স্কুলগুলি নিজেদের সেরা বলবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে কম্পিটিটিভ পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেন এমন সংস্থাগুলির কাছে সবাই সমান। এরকমই এক সংস্থার অধিকর্তা মধুপর্ণা শ্রীমানি বললেন, ‘আমাদের কাছে বোর্ডের কোনও গুরুত্ব নেই। প্রশিক্ষণটাই আসল।
কোনও ছাত্র বা ছাত্রী দিল্লি বোর্ড থেকে এল না কি রাজ্য বোর্ড থেকে তা আমরা দেখি না।’ যদিও অন্য একটি ম্যানজেমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সভাপতি টিপম ভট্টাচার্যর বক্তব্য, ‘আইসিএসই-র পড়ুয়ারা স্পোকেন ইংলিশে বেশি পারদর্শী। তাদের কম্পিউটার জ্ঞানও বেশি থাকে। তাই চাকরির বাজারে তারা বেশি সফল হয়।’ একটি নামকরা বেসরকারি স্কুলের প্রো ভাইস চেয়ারম্যান অলোক টিবরেওয়াল এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, ‘সিবিএসই-র সঙ্গে কোনও বোর্ড বা কাউন্সিলের তুলনাই হয় না। সিলেবাস থেকে ‘সাকসেস রেট’ সবকিছু ধরলে সিবিএসই-র ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের ধারেকাছেও নেই কেউ। দু’বছর পরে এই সাফল্য আরও বাড়বে।’