কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
অনন্য অভিজ্ঞতা
কিছুদিন আগে জি ফাইভে মুক্তি পাওয়া স্পাই-থ্রিলারধর্মী ছবি ‘বার্লিন’ রাহুলের কেরিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেন, ‘আমি সবসময় কোনও প্রজেক্ট করার আগে দেখি তার গল্প কেমন, আমার চরিত্রটি কীভাবে লেখা হয়েছে, সহ অভিনেতা কারা রয়েছেন এবং পরিচালক কে। এত কিছু পছন্দ হলে তবেই সেই কাজটা করি। ‘বার্লিন’-এ সব কিছুই আমি পেয়েছিলাম। ১৫-২০ বছর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে মন্দ মানুষের চরিত্রে আমি অভিনয় করব না। কিন্তু এই ছবিতে অপারশক্তি খুরানা, ইশওয়াক সিং-এর সঙ্গে কাজ করে দারুণ লেগেছে।’
৯০-এর দশক
‘বার্লিন’ ছবিতে ৯০ দশকের গল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। ওই সময়ের সবচেয়ে ভালো কী ছিল? রাহুলের জবাব, ‘ওই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। এর থেকে ভালো আর কিছু হয় কি? সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের থেকে সময়, মনসংযোগ, পারিপার্শ্বিক দুনিয়াকে উপভোগ করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এখন অনেক বেশি উদ্বিগ্ন, প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছেন।’
সমালোচনা থেকে দূরে
সীমিত কাজ করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাহুলের অভিনয় সমাদৃত হয়েছে। সমালোচনার প্রসঙ্গ উঠতে একটু যেন বিরক্তির সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। অভিনেতা বললেন, ‘আমি কোনও সমালোচকের সমালোচনা পড়ি না। ২০ বছর আগেই এসব বন্ধ করে দিয়েছি। আপনার কোনও বন্ধু যদি বলে এই ছবিটা দেখ, এটাই যথেষ্ট। এরজন্য কোনও রিভিউয়ের প্রয়োজন পড়ে না। সমালোচকের কলমের খোঁচায় এখন কোনও ছবির ভাগ্য নির্ধারণ হয় না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের মতামত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি কে কী বলছেন, আমি তা গায়ে মাখি না।’
ষোলোআনা বাঙালি
কলকাতা থেকে দূরে থাকলেও তিনি ষোলোআনা বাঙালি বলেই দাবি করলেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর আমাকে রাগবি ইন্ডিয়া ক্যাম্পের জন্য কলকাতায় যেতে হয়। কলকাতায় গেলে ভাত, ভাপা ইলিশ, মাছের ঝোল, চচ্চড়ি সবকিছু খাই। কোনও বন্ধুর বাড়িতে গেলে আগে থেকে তাঁদের শুক্তো, ঝিঙে-আলু পোস্ত রান্না করতে বলি। নিউইয়র্কের পর কলকাতা আমার দ্বিতীয় প্রিয় শহর। আর মুম্বই আমার নিজের বাড়ি। আমার বাবা বাঙালি, আর মা অর্ধেক মারাঠি, আর অর্ধেক পাঞ্জাবি। আমি মারাঠি এবং পাঞ্জাবি সংস্কৃতি এবং খাবারের সঙ্গে বাংলার মতোই স্বচ্ছন্দ।’
অনুশোচনা
ব্যক্তি হোক বা পেশাদার জীবন— অনুশোচনার অনুভূতি রাহুলকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। নিজের ভুল সম্পর্কে সচেতন অভিনেতা বলেন, ‘কিছু মানুষের সঙ্গে আগে আমি খারাপ ব্যবহার করেছি। অতীতে আমি যা ভুল করেছি, তা আমি শোধরাতে চাই।’
দেবারতি ভট্টাচার্য • মুম্বই