কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
কেন?
• মাত্র তিনটে বাংলা ছবি রিলিজ করছে।
দেখুন, পুজোতে ১১টা ছবি একসঙ্গে রিলিজ করতে আমি দেখেছি। একই প্রযোজকের তিনটে ছবি রিলিজ করছে, সেটাও দেখেছি। হ্যাঁ, সেভাবে ভাবলে এবার ছবি কম। তাই হয়তো প্রতিযোগিতা কম। কিন্তু এখন ওই প্রতিযোগিতা নিয়ে কেউ ভাবছে না। যার ছবিই হোক, চলুক। এটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।
• সৃজিতকে অনেকেই ‘থ্রিলার মাস্টার’ বলেন। ওঁর তৈরি কোন থ্রিলার আপনার ভালো লেগেছে?
খুব একটা দেখিনি। ‘টেক্কা’ ভালো লেগেছে (হাসি)।
• ‘জুলফিকর’-এ শুধু সৃজিতের নির্দেশ শুনতেন। আর ‘টেক্কা’তে অনেক পরামর্শও দিয়েছেন। এটা কি প্রযোজক হওয়ার সুফল? নাকি অভিনেতা হিসেবে পরিণত হওয়ার জন্য সম্ভব হল?
দুটোই। প্রযোজক এবং অভিনেতা সত্তা— দুটোই এখানে কাজে লেগেছে। অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে কমিউনিকেট করব, সেটাও শিখতে হয়। ‘টেক্কা’র মতো চরিত্র প্রথমবার করছি। খুব বোল্ড চরিত্র। দর্শক কতটা গ্রহণ করবেন, সেটা নিয়ে চিন্তা ছিল। নতুন কিছু করার খিদে আমার সারা জীবন রয়েছে। আর এই ছবিটার ক্ষেত্রে যেহেতু প্রযোজনা করেছি, প্রথম দিন থেকে চিত্রনাট্য কী, কাদের কাস্ট করা হবে, কোন লোকেশন শ্যুটিং হবে, কেন আমি এত টাকা দেব— সব বিষয়টা নিজে দেখেছি। আমি অন্য প্রযোজকদের মতো নই। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব নিজে করি। নাহলে আমার অস্বস্তি হয়। সৃজিতও অনেকটা তেমন। সব বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকে। সেটা আমার ভালোই লাগে।
• আপনাদের দু’জনেরই ডমিনেটিং স্বভাব?
কিছুটা তো বটেই।
• তাতে অসুবিধে হয়নি?
না। কোনও ক্ল্যাশ করেনি। কাজটা ভালো হতে হবে, এই জায়গায় কিন্তু দু’জনেই একমত। তাছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিসএগ্রিমেন্ট থাকেই। তা নিয়ে ব্যক্তি স্তরে কোনও ঝামেলা হয়নি। ২৫ দিনের কাছাকাছি শ্যুটিং করেছি।
• বাংলা ছবি এখন এতদিন ধরে শ্যুটিং হয়?
কেন হবে না? ‘খাদান’ এখনও শ্যুট করছি। ‘প্রধান’ ৪০ দিন শ্যুট হয়েছে। ‘রঘু ডাকাত’ প্ল্যান হচ্ছে। সেটাও ৪০-৫০ দিনের শ্যুটিং। এখন ভারতের সব ছবি কোয়ালিটি কনশাস। সেখানে আমি একটা ফালতু ছবি নিয়ে বক্স অফিসে পৌঁছতে পারব না। ‘টেক্কা’ দেখে বুঝতে পারবেন প্রিমিয়াম কোয়ালিটির শ্যুটিং হয়েছে।
• এই চরিত্রটা করার জন্য কনভিন্স হলেন কীভাবে?
কনভিন্স হওয়াটা কঠিন ছিল। প্রত্যেকটা দৃশ্যে যদি ‘দেব’কে দেখা যায়, তাহলে দর্শক ছুড়ে ফেলে দেবেন। ঠিক যেমন শাহরুখ খানের ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু চাপরাশি বা ক্লার্কের চরিত্রে সুপারস্টারকে কনভিন্স করানো সহজ নয়। এখানেই অভিজ্ঞতা, এত দিনের শিক্ষা, কতটা নিজেকে ভাঙতে পারলাম, সেগুলো কাজে লাগে। এই ছবিটা প্রথম শুনে মনে হয়েছিল চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু অসম্ভব নয়। দেব যে সংলাপগুলো বলছে, সেটা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ দেবের একটা ভালো ইমেজ রয়েছে। দেব এই সংলাপগুলো বলবে তো? দেবের যেন পরে অসুবিধে না হয়। টিজার, ট্রেলার দেখে লোকে নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছেন। এটাই আমার ভালো লাগা।
• রুক্মিণী মৈত্র আবার আপনার প্রযোজনায় কাজ করলেন।
রাজও (চক্রবর্তী) তো শুভশ্রীর (গঙ্গোপাধ্যায়) সঙ্গেই কাজ করছে। কোয়েল (মল্লিক) তো রানের (নিসপাল সিং) ছবিতেই কাজ করে। আর রুক্মিণীকে তো আমি কাস্ট করিনি। সৃজিত করেছে।
• আপনার রাজনীতির পরিচয় থাকায় কি সিনেমার দর্শক ভাগ হয়ে যান?
ছবি দেখার ক্ষেত্রে কোনও ভাগ নেই। সাধারণ দর্শক জানেন, দেব খারাপ মানুষ নয়। আমি মনে করি, রাজনীতির মঞ্চে এমন লোক নিয়ে আসতে হবে, যে বলবে উল্টোদিকের লোকটা আমার বন্ধু।
স্বরলিপি ভট্টাচার্য
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়