উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া যাক ‘রুহি’ কিন্তু ‘স্ত্রী’র সিক্যুয়েল নয়। সহজ গল্প। দুই হরিহর আত্মা বন্ধু ভাওরা (রাজকুমার রাও) ও কাটান্নি (বরুণ শর্মা) নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করে। পাশাপাশি জোর করে বিয়ে দেওয়ার জন্য মহিলা অপহরণের কাজও করতে হয় তাদের। একসময় রুহিকে (জাহ্নবী কাপুর) অপহরণ করার অ্যাসাইনমেন্ট পায় তারা। সুন্দরভাবে সেই অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ হয়— জানা যায় রুহির মধ্যে রয়েছে দ্বৈত সত্তা। তার মধ্যে বাসা বেঁধেছে আফজার ভূত। এরপর শুরু হয় ভূতের সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেম! ফলে আর বুঝতে বাকি থাকে না যে ছবির ভাগ্যে কী লেখা রয়েছে।
ইদানীং বলিউডে যেখানে সুযোগ পেলেই নারীর ক্ষমতায়নের বার্তা জুড়ে দেওয়া হয়, সেখানে এই ছবিতে মহিলাদের উদ্দেশে ‘চুড়েল’ শব্দের প্রয়োগ বা শিকলে বাঁধা মহিলা দেখাটা অস্বস্তিকর। চিত্রনাট্যে ফাঁক ফোকর খুঁজতে গেলে খেই পাওয়া কঠিন। মুখ্য চরিত্র রুহির অতীতের উপর সেরকম আলোকপাত করা হয়নি বলে গল্প অনুসরণ করতেও অসুবিধা হয়। আর কমেডি নিয়ে না বলাই ভালো। সংলাপের মধ্যে কিছু সস্তার চুটকি ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা ছবির ক্ষতি করেছে। রাজকুমারের চরিত্রটা ‘স্ত্রী’র ভিকি চরিত্রের অনুকরণ বলে মনে হয়। তবে তাঁর কমিক টাইমিং ভালো হলেও বরুণের অভিনয় বিরক্তিকর। জাহ্নবীকে চিত্রনাট্যে সেরকম জায়গাই দেওয়া হয়নি। ভূতের বেশে চিৎকার ছাড়া তাঁর বিশেষ কিছু করার ছিল না। সবথেকে বড় কথা, স্বাদহীন দ্বিতীয়ার্ধ পেরিয়ে ছবির ক্লাইম্যাক্স আরও বিরক্তি তৈরি করে। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে এক বছর পর আবার বড় স্টারকাস্ট নিয়ে হিন্দি ছবি সিনেমা হলে মুক্তি পেল। দর্শককে সিনেমা হলে ফেরাতে ‘রুহি’র উপরে কি ভরসা করা যায়? উত্তর- কোনওভাবেই নয়।