পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
‘বাচ্চা শ্বশুর’ ছবির নাম হিসেবে একটু অদ্ভুত না?
আজই ছবির রিলিজ। মজা করতেই নামটা এভাবে রাখা। একটা ক্লু দিতে পারি, বাচ্চার গলায় আমি শ্বশুরের আওয়াজ শুনতে পাই। আমার চরিত্রের নাম স্পন্দন। শুধু স্পন্দনই এই আওয়াজ শুনতে পায়। বাকিটা না হয় হলে গিয়েই দেখবেন।
কমেডিও আছে, আবার ট্র্যাজেডিও আছে। অন্তত ট্রেলার দেখে তো তাই মনে হচ্ছে?
হ্যাঁ, কমেডি, ড্রামা, ট্র্যাজেডি সবই রয়েছে। ট্রেলারে যতটুকু দেখা গিয়েছে, তার চেয়েও অনেক কিছু আছে।
জিতের ছবি মানেই তো চোখা সংলাপ, মারদাঙ্গা আর প্রেম। সেখান থেকে এই ছবিতে একটু সরে এলেন?
অভিনেতা হিসেবে আমি তো বিভিন্ন ধরনের কাজ করি। এই আইডিয়াটা ভালো লেগেছে বলেই করেছি। তবে একদম এরকম না হলেও, অ্যাকশন নেই এমন হিরোর কাজ কিন্তু আমি আগেও করেছি। পরেও আবার করব। সব ধরনের কাজই করতে চাই।
এই ছবিও কি পুরোদস্তুর কর্মাশিয়াল?
আমাদের একটা চিন্তা পরিষ্কার। যে ছবিই করি না কেন, তা যেন বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়, বেশি সংখ্যক দর্শককে কানেক্ট করে। নিজে খুশি হলাম, শুধু এটুকু নয়। ছবিটা যেন বাংলা ভাষার মানুষ ছাড়াও অন্যদের ভালো লাগে।
এই ছবিতে পরিচালক হিসেবে পাভেলের নাম নিয়ে বিতর্ক হয়েছে?
পাভেলের সঙ্গে শিবুর (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) একটা কথা হচ্ছে। সেটা ওঁরা সমাধান করবে। বিশ্বরূপ এই ছবির পরিচালক।
কৌশানীর সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। কেমন লাগল?
খুব ভালো কাজ করেছে। বেশ ট্যালেন্টেড। আমার মনে হয়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ও অনেক দূর যাবে।
আপনি ব্যক্তিগত জীবনে বাবা বলে কি এই ছবিতে বাচ্চার সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে?
না তেমন নয়। আমি যৌথ পরিবারে মানুষ। ছোট থেকে সবার সঙ্গে হইহই করে বড় হয়েছি। ‘বন্ধন’ ছবি যখন করেছিলাম, তখন কিন্তু আমার বিয়ে হয়নি। আসলে বাচ্চা আমি ভালোবাসি। তাই ওদের সঙ্গে কাজ করতে কখনই সমস্যা হয় না।
এই ছবিতে আপনাকে অন্য লুকে দেখে ভক্তরা কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন?
খুবই ভালো। প্রচুর লাইক পাচ্ছি। ডিসলাইক সেরকম নেই।
শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেপ্তার হওয়া কি বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করবে?
আমি এটাকে ইন্ডাস্ট্রির ঊর্ধ্বে দেখি। ইন্ডাস্ট্রি মানে কাজ। তবে আমার প্রার্থনা রয়েছে ওঁর জন্য।
আপনি যেহেতু এখন প্রযোজকও, এসভিএফ-এর ক্ষতিতে তো আপনার উল্লসিত হওয়া উচিত?
না, তা কেন? ওভাবে ভাবিই না। ব্যক্তিগতভাবেও নয়, প্রযোজক হিসেবেও নয়। ওরাও কিছু ভালো কাজ করেছে। আমাদের ভাবনা আলাদা, কারও সঙ্গে মিলবে না। তাই আমাদের প্রতিযোগিতা নেই।
দেবের সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক? লড়াই না বন্ধুত্ব...
দেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। আমরা দু’জনেই কাজ করতে এসেছি। সেদিকেই আমাদের ফোকাস। এ নিয়ে ফ্যানেরা লড়াই করলেও আমাদের মধ্যে কোনও লড়াই নেই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি নিজেই।
জিৎ-শ্রাবন্তী, না জিৎ-কোয়েল কোন জুটি এগিয়ে?
কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে সে তো আপনারা ঠিক করবেন। দর্শক ঠিক করবেন। আমার কাছে সব হিরোইনই গুড। এখন যেমন বলব জিৎ-কৌশানী। (হাসি)
এবার বুঝেছি, লোকে কেন আপনাকে ডিপ্লোম্যাটিক বলে।
সেটা কী খারাপ? ডিপ্লোম্যাসি ইজ নট ব্যাড।
কোয়েলের সঙ্গে তো আবার ছবি করছেন?
হ্যাঁ, কিন্তু তা নিয়ে এখন কিছু বলব না।
আপনি কি নম্বর রেসে বিশ্বাসী ?
ইন্ডাস্ট্রির নম্বরে বিশ্বাস করি না। নম্বর সবক্ষেত্রেই রয়েছে। একজন সাবান বিক্রেতাও বলে আমার সাবানই নাম্বার ওয়ান। আমি ৩ নম্বরে বিশ্বাস করি। আমার টি-শার্টেও লেখা রয়েছে ৩ (শার্টের দিকে দেখিয়ে)। আমার লাকি নম্বর। ১ নম্বর পেইনফুল। তাই ধরে রাখার চেষ্টা করছি না। আমি তিনেই কমফর্টেবল।
ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি কেউ ক্লোজড বন্ধু হয় না?
ক্লোজড ফ্রেন্ড! বন্ধুত্বই হয় না।
আপনার বন্ধু নেই?
কাজ করতে করতে কারও সঙ্গে কিছু মত আদানপ্রদান হয়। কখনও বন্ধুত্ব হয়। খুব কমই বন্ধুত্ব থাকে, যেটা দীর্ঘকালীন।
কোন কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজের ইচ্ছা আছে?
রাজা মৌলি, সঞ্জয়লীলা বনসালি, করণ জোহর। চরিত্র ভালো পেলে, গল্প ভালো হলে, সব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করতে আগ্রহী।
সবই তো বলিউডের নাম বললেন। সেখানে যাচ্ছেন নাকি?
ডাক এলে নিশ্চয়ই যাব। আগে তো কিছুদিন আমি মুম্বইতেই ছিলাম।
পরিচালক হওয়ার ইচ্ছা আছে?
আগে মাথায় আসত। এখন আর নেই। বরং ট্যালেন্টেড রাইটার-ডিরেক্টরদের প্রোমোট করতেই আমি বেশি স্বচ্ছন্দ্য।
মানে আপনি অভিনেতা-প্রযোজক হিসেবেই থাকতে চান?
প্রোমোটারও। যে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে প্রোমোট করবে।