পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উপর আলোকপাত করা হয়েছে ছবিতে এবং তা হল শিক্ষা ব্যবস্থা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজকের শিক্ষাব্যবস্থা হয়তো আধুনিকতার সংস্পর্শ লাভ করেছে। কিন্তু তা কতটা কার্যকরী? ছবিতে দেখা যায় সিনেমাটোগ্রাফির ছাত্র উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই চাকরির বাজারেও ভাগ্যদেবতা ছাত্রটির প্রতি সুবিচার করে না। এক সময় অর্থ উপার্জনের জন্য অন্ধকার জগতের প্রলোভনও তার সামনে হাজির হয়। ধীরে ধীরে তার ভেতর বাসা বাঁধে হতাশা, অবসাদ, হীনমন্যতা এমনকী আত্মহত্যার প্রবণতাও। ছবিটি দেখতে গিয়ে ছাত্রটির সংগ্রাম অজান্তেই দর্শক মনকে নাড়া দেয়। ব্যক্তি সমস্যা হয়ে ওঠে অগণিত ছাত্রছাত্রীর লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। সেই সঙ্গে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ভঙ্গুর কাঠামো এবং তার গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলে। আর এখানেই ছবিটির শিরোনামের সার্থকতা।
ছবির তিনটে গান ছবির বিষয়বস্তুকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। অশোক ভদ্র ও তাপস রায়ের সঙ্গীত পরিচালনা প্রশংসনীয়। শিল্পী দীপশ্রী সিনহা এই ছবির গীতিকার। তাঁর সুপরিচিত ও সুরেলা কণ্ঠের গান অন্যতম প্রাপ্তি। দীপশ্রী ছবিতে একটি চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন অঞ্জন বিশ্বাস ও আফসার রহমান।