প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ঋতু বদলের সময় সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায়। পুজো মিটতেই এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এইধরনের সিজনাল ফ্লু-এর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই জ্বর একবার কারও হলে, তাঁর পরিবারের বাকিরাও একে একে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কী? ভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচানোর উপায়ই বা কী?
খাতায়কলমে বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিলেও পুজোর পর থেকেই খাপছাড়া ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে রাতে এবং ভোরের দিকে ঠাণ্ডা হচ্ছে পরিবেশ। কখনও-সখনও হিমেল হাওয়াও বইছে। কেউ কেউ আবার বৃষ্টিতে ভিজেও জ্বরে ভুগছেন। ভাইরাস থেকে হওয়া সংক্রমণ বোঝার জন্য কিছু উপসর্গ রয়েছে। যেমন— হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা, হালকা থেকে মাঝারি জ্বর, শ্বাসনালীর সংক্রমণ, যেমন গলা খুসখুস, কাশি, গলায় ব্যথা, খাবার গিলতে সমস্যা, গলা ভেঙে যাওয়া, নাক বন্ধ, সর্দি ইত্যাদি। এর সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর সঙ্গে বদহজম এবং ডায়ারিয়ার সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। তবে, শীত পড়ে গেলে এটা অনেকটাই কমে আসবে। তার আগে এই অক্টোবর-নভেম্বর মাসটা একটু সমঝে চলতে পারলে এই অসুখকে অনেকাংশেই প্রতিহত করা যাবে।
কী ভাবে এড়াবেন?
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখন জ্বর-সর্দি-কাশিতে তেমন ভয়ের কিছু নেই। এসব ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষা করানোরও দরকার পড়ে না। সাধারণ প্যারাসিটামলেই কাজ হয়ে যায়। সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং যথেষ্ট পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। কারণ ডিহাইড্রেশন ভাইরাল জ্বরকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি জিনিস মেনে চললে উপকার মিলতে পারে।
রোগটি যে হেতু সংক্রামক, তাই যাঁর জ্বর হয়েছে, তিনি মাস্ক পরে থাকুন। বাড়িতে কারও ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে পরিবারের অন্যদের সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য তাঁকে মাস্ক পরতেই হবে। আবার যাঁর হয়নি, তাঁরও সতর্কতামূলকভাবে মাস্ক পরে থাকা উচিৎ। এর সঙ্গে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ় করার মতো নিয়ম পালন করুন। ভিড়ের জায়গাগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বিয়েবাড়ি, সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে চেষ্টা করুন মাস্ক পরার ও স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে রাখার। আর যাঁরা বাস- মেট্রো- ট্রেনে যাতায়াত করেন বা ভিড়ের মধ্যে থাকতে বাধ্য হন, তাঁদের মাস্ক পরাটা অত্যন্ত জরুরি।
বৃষ্টিতে ভেজা মানেই কিন্তু ভাইরাল জ্বরকে নিমন্ত্রণ করা। ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে হালকা গরম জলে স্নান করে নিন। চেষ্টা করুন ভিজে জামাকাপড় বেশিক্ষণ গায়ে না রাখতে।
প্রচণ্ড গরম থেকে আচমকা ঠান্ডা এসি ঘরে ঢুকে পড়া যাবে না। বা এসি থেকে বার বার গরমে বেরনও কিন্তু অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সব সময়েই জরুরি। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। পর্যাপ্ত জল আর পুষ্টিকর খাবার খান।
এছাড়া বাজারে এখন নিমোভ্যাক ইনফ্লোভ্যাকের মতো বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি ভাইরাল ভ্যাকসিন রয়েছে। এগুলি ভাইরাল ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেকটাই কমায়।