Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য একটাই, জন্মলগ্ন থেকে দেশের অর্থনীতি এবং আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোকে একটা বাঁধনে বেঁধে ফেলা। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সবটাই শূন্য থেকে শুরু। আর এমন মুহূর্তে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। দায়িত্ব দিলেন নেহরু প্রশান্ত মহালানবিশকে... ‘আপনি কিছু করুন’। এই ‘কিছু’ বলতে কী? আসরে নামলেন মহালানবিশ। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে করবেন তিনি। অর্থাৎ, নমুনা সংগ্রহ। এতবড় দেশের প্রত্যেক ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই জনপদ এবং পরিবার বেছে নিতে হবে নিপুণভাবে। সব ধরনের এলাকা এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের নমুনা যাতে নথিভুক্ত হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম দফায় ১৮৩৩ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ হল। পুরোটাই প্রায় গ্রাম্য এলাকা থেকে। ১৯৫০ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৫১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিপুল কর্মকাণ্ড। আর এত বড় স্যাম্পল সার্ভে সত্যিই তখন ছিল তাক লাগানোর মতো। পাশাপাশি ততদিনে শুরু হয়ে গিয়েছে জনগণনার কাজও। ’৫১ সালের ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। বাড়িতে কতজন আছেন, কী কাজ করেন, পরিবারের আয় কত, জমিজমা কী আছে, বাড়িতে কতজন পুরুষ ও কতজন মহিলা, কী ভাষায় কথা বলেন... এক কথায় তথ্য ভাণ্ডার। এবং অবশ্যই অন্ধকার থেকে মুক্তি। কারণ সরকার দেখতে পেল, কোন শ্রেণির জন্য কতটা কাজ করতে হবে। কত কোটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য সস্তায় দিতে হবে রেশন, কোন শ্রেণিকে আরও বেশি করে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে হবে, দেশের কোন প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসীরা টাকার কথাই শোনেনি... তাদের নিয়ে আসতে হবে মূল স্রোতে। স্যাম্পল সার্ভে হল। জনগণনাও। আদমশুমারির ক্ষেত্রে ভারত অবশ্য আনকোরা ছিল না। লর্ড মেয়োর শুরু করা প্রক্রিয়া ১৯৪১ সালের পরাধীন ভারতেও সেরেছে ব্রিটিশ সরকার। নেহরু একটা কাজই করেছিলেন—সেটা বন্ধ হতে দেননি। এবং আক্ষরিক অর্থে গোটা দেশে জনগণনা কার্যকর করেছিলেন। 
জনগণনা। সেন্সাস। আদমশুমারি। যে নামেই ডাকুন না কেন, এর অর্থটা কী? ভারত কবে চীনকে জনসংখ্যার নিরিখে পেরিয়ে যাবে, তার উত্তর মেলে এতে? তেমনটা কিন্তু নয়। এ এমন এক প্রক্রিয়া, 
যার উপর দাঁড়িয়ে থাকে দেশের এবং সমাজের বর্তমান। এমনকী ভবিষ্যৎও। সেন্সাসের তথ্যের উপর নির্ভর করেই সরকার তৈরি করে সামাজিক সুরক্ষার ব্লু-প্রিন্ট। এখন যেমন ২০১১ সালের হিসেবের ভিত্তিতেই দেশ চলছে। তখন ভারতের জনসংখ্যা কত ছিল? ১২০ কোটি। তারপর মধ্যবর্তী সমীক্ষা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? পরিপূর্ণ সেন্সাস যা তথ্য সরকারকে দেবে, তা কোনও ইন্টারিম সার্ভে দিতে পারে না। আর তাই ২০২১ সালে নির্ধারিত জনগণনার কাজ না হওয়ার বিস্তর 
প্রভাব কিন্তু পড়ছে আম জনতার মধ্যে। পুরো আফটার শকটাই অনুভূত হচ্ছে সমাজের মাইক্রো লেভেলে। তাহলে কেন হচ্ছে না সেন্সাস? ২০২০ সালে না হয় কোভিড-হানা ছিল। আপামর দেশবাসীর হাতে ভ্যাকসিনের ছুঁচ ফোটাতেই সময় কাবার হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রের। একুশেও না হয় যথারীতি করোনা এফেক্ট ছিল। তাই সেন্সাসের সময় পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপর? একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন 
ও লোকসভা ভোট হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়েছেন, রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে, শিল্পপতিরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজকীয়ভাবে বিয়েও দিয়েছেন। 
বাকি থেকে গিয়েছে শুধু সেন্সাস। কেন?
কারণ রাজনৈতিক হতেই পারে। এবং তা একটি নয়, একাধিক। যেমন, ১) দিল্লির দরবার থেকে যা খবর মিলছে, জনগণনার রিপোর্ট সামনে এলে সবার আগে নজর পড়বে মুসলিম জনসংখ্যায়। দেশ ১৪০ কোটি নাগরিকের মাইলস্টোন পার করলেও হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় মুসলিমদের অনুপাত কিন্তু কমবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি ধাক্কা খাবে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি। হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে—এমন একটা প্রচার আর ধোপে টিকবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির শাসকদের বিরুদ্ধে লাগাতার নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ তোপ দেগে থাকেন, তারা নাকি ভোটের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়। সেই রাজনৈতিক প্রচারও হালে পানি পাবে না। ২) এবার আদমশুমারিতে জাতিগণনার দাবি প্রতিদিন প্রবল হয়ে উঠছে। কংগ্রেস, আরজেডি এমনকী শরিক জেডিইউয়ের মতো দলও এই একটি দাবি নিয়েই কোমর বেঁধে নেমেছে। যুক্তিটা পরিষ্কার, ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তফসিলি জাতি ও উপজাতির কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। কারণ, তারা পিছড়ে বর্গ। বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই শ্রেণির মানুষকে সামনের সারিতে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করেছিল নেহরু সরকার। এখন সেই একই ফর্মুলা ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য প্রযোজ্য হবে না কেন? ঠিক কতজন ভারতীয় নাগরিক ওবিসি ক্যাটিগরিতে পড়ছেন, সেন্সাস না হওয়া পর্যন্ত সেটা জানাটা অসম্ভব। সেই অঙ্ক সামনে চলে এলে তাঁদের জন্য বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে বিজেপির এলিট হিন্দু ক্লাসের রাজনীতি। ৩) খাও এবং খানে দো... তলে তলে গেরুয়া বাহিনীর এই আপ্তবাক্য এখন চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছে। নরেন্দ্র মোদি মুখে যতই বলুন, তাঁর সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স, ক্যাগ রিপোর্টেও কিন্তু উল্টো সুর শোনা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া তকমা গায়ে সেঁটে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে যত মানুষ সুবিধা ভোগ করে আসছে, তাদের পায়ের তলার মাটি সরবে। সেইসঙ্গে ‘সোর্স’ কাটছাঁট হয়ে যাবে নেতাদেরও। হিসেব বলছে, দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ সরাসরি বাদ হয়ে যাবে ‘ফ্রি রেশন প্রাপ্তির’ তালিকা থেকে। সবচেয়ে বেশি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে ডাবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। সে আবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রও বটে। আর শুধু রেশন নয়, সব সামাজিক প্রকল্পেই এর প্রভাব পড়বে। তাই যতদিন ২০১১ সালের হিসেবে প্রকল্প বা উন্নয়নের ঝান্ডা তুলে রাখা যায়, ততই ভালো। ৪) ডিলিমিটেশন বা আসন পুনর্বিন্যাস আর একটা বড় কারণ। এই আর একটি ক্ষেত্র, যেখানে ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে বিজেপির। প্রশ্ন হল, কেন? ২০০১ সালে সংশোধনী এনে ২৫ বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল আসন পুনর্বিন্যাস। অর্থাৎ, কোন রাজ্যে কতগুলি লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা বা পঞ্চায়েত আসন থাকবে, তার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০০১ সালে। তখন ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১০২ কোটির সামান্য বেশি। ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা ৪০ কোটি বেড়েছে মানে সেই অনুপাতে ভোটারও বেড়েছে। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার কিন্তু বেশিরভাগটাই উত্তর ভারতে। অর্থাৎ, গেরুয়া শিবিরের গড় বলে পরিচিত এমন রাজ্যগুলিতে। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে, স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে, মাথা পিছু আয়ও আগের থেকে অনেক বেশি। সোজা কথায়, আর্থ-সামাজিক দিক থেকে উন্নতি করেছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি। বিজেপির উৎফুল্ল হওয়ারই কথা। কারণ, ডিলিমিটেশন হলে দক্ষিণে আসন সংখ্যা কমবে, উত্তরে বাড়বে। গত লোকসভা ভোট পর্যন্তও অঙ্কটা এমন ছিল। তৃতীয় ইনিংস শুরু করার পর নরেন্দ্র মোদি আবিষ্কার করেছেন, সমীকরণটা এখন আর অতটা সহজ নয়। উত্তরে রীতিমতো ভাগ বসিয়েছে বিরোধীরা। বাকি থাকল পূর্ব এবং পশ্চিম। বহু চেষ্টার পরও বাংলা বা পাঞ্জাবের মতো রাজ্যের গেরুয়াকরণ করা যাচ্ছে না। অথচ আসন পুনর্বিন্যাস হলে পশ্চিমবঙ্গের আসন বাড়বে। সেটা আরও মাথাব্যথার বিষয়। উপায় একটাই, রাজ্য ভাগ। একমাত্র উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের কিছু অংশ জুড়ে (সীমাঞ্চল) আলাদা রাজ্য তৈরি করতে পারলে এই ট্রেন্ড বিগড়ে দেওয়া সম্ভব। সেটাও হয়ে উঠছে না। কারণ, বাংলার মানুষই সেটা চায় না। রাজ্য ভাগ হলে বিজেপির ভোটই উল্টে কমে যাবে। তাই আগে রাজনৈতিক জমি শক্ত করে সেন্সাসে যাওয়া ভালো। মোদিজি হয়তো ভাবছেন, এক দেশ এক ভোট কার্যকর করে ফেলতে পারলে ওই ভিতের উপর ভালোভাবে সিমেন্ট মারা হয়ে যাবে। সত্যিই কি তাই? এটারও কিন্তু পরীক্ষা প্রার্থনীয়। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত—চলতি বছরও ওসব জনসংখ্যা গোনাগুনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাহলে মোদি সরকারের হাতে টালবাহানার জন্য কতদিন থাকল? মাত্র একটা বছর—২০২৫। কারণ, জনগণনা পিছনো গেলেও ডিলিমিটেশন নিয়ে এপাশ ওপাশ করা চলবে না। ২০২৫ সালে জনগণনা শুরু হলে রিপোর্ট পেতে পেতে ’২৬। ওই বছরই ডিলিমিটেশনের কাজ শুরু হবে। সেটা শেষ হতে আরও তিন বছর। অর্থাৎ ২০২৮। অর্থাৎ, এই ফর্মুলা বাস্তবায়িত হলে পরের লোকসভা ভোট নতুন আসন বিন্যাসেই যাবেন মোদিজি।
১৮৮১ সালে লর্ড মেয়োর হাত ধরে সেন্সাস শুরুর পর ১৪০ বছর কেটে গিয়েছে। এই প্রথম অতি প্রয়োজনীয় এই কর্মকাণ্ড হয়নি সঠিক সময়ে। হচ্ছেও না। এতে রাজনৈতিক দলগুলির হয়তো খুব বেশি কিছু আসে যায় না। কিন্তু ঘুম উড়ে যায় আমলা মহলের, নীতি নির্ধারকদের। কারণ, ওই ডেটার উপর নির্ভর করেই তাঁরা প্রশাসন চালান, নীতি ঠিক করেন। জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় নতুন আইন। বদলেও যায়। প্রশাসন বুঝতে পারে, কোন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বন্ধ করার সময় এসেছে বা কোন ধরনের প্রকল্প নতুন করে শুরু করতে হবে। ব্যবসায়ীরা বুঝে নেন বাজার। সাধারণ মানুষের উপার্জন বাড়ল কি না, তারা কোন ক্যাটিগরিতে পড়ল, সেই মতো উৎপাদন বাড়ানো হবে কি না... এই সবই নির্ভর করে সেন্সাসের রিপোর্টের উপর। রোজকার জীবন যাপনে আপনি-আমি হয়তো এর প্রয়োজনীয়তা খুব একটা টের পাই না। আমরা শুধু মূল্যবৃদ্ধির আঁচে সেদ্ধ হই। আর সেন্সাসে ঢিলেমির সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে সেঁধিয়ে যায় সমাজের মাইক্রো লেভেল। নিম্ন মধ্যবিত্ত। গরিব মানুষ। তারপরও আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সেন্সাসের স্বপ্ন দেখেন। সেখানে একটি অ্যাপ লঞ্চ হবে। আমরা সবাই সেটা ডাউনলোড করব। তারপর ফর্ম ফিল আপ ও আপলোড। সে সব দেখে সমীক্ষকরা আমাদের বাড়িতে আসবেন এবং ফর্ম মিলিয়ে নেবেন। মোদিজি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, আমাদের দেশে এখন ৭০ কোটির কাছাকাছি মোবাইল ফোন চলে। অনেকেরই আবার তার মধ্যে একাধিক হ্যান্ডসেট ও নম্বর রয়েছে। ৭০ কোটি একক ব্যবহারকারী ধরলেও কিন্তু আরও ৭০ কোটি মানুষ এখনও স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। কেনারও না, ব্যবহারেরও না। তাহলে ডিজিটাল সেন্সাস হবে কীভাবে? আর কবে?
বোধহয় আচ্ছে দিন এলে। 
29th  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

24th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং সেন্টারের অঙ্কের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভব্রত দত্ত। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায় তার আদি বাড়ি। বর্তমানে সে বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় বরফকলের কাছে থাকে। ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বন্ধ গঙ্গোত্রী মন্দির
শনিবার বন্ধ হল গঙ্গোত্রী ধাম। শীতের মরশুমের আগে মন্দিরের দরজা ...বিশদ

09:32:39 AM

প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM