Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’ 
একইসঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইতিহাসে ‘কলঙ্ক’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আন্তোনিও গুতেইরেস। কারণ, সম্প্রতি প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলের প্রায় ছয় দশকের দখলদারির অবসান চেয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রায় সব দেশ সেই প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানায়। ফলে ইজরায়েলও তার বদলা নেওয়া শুরু করেছে। দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিবাহিনীর উপর শুরু হয়েছে ইজরায়েলের বোমা বর্ষণ। একইসঙ্গে প্যালেস্তাইনের গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে শুরু হয়েছে ইজরায়েলের নতুন আক্রমণ। এই একের পর এক হামলাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘকে তারা পাত্তাই দেয় না!
নেতানিয়াহু এক আবেগপ্রবণ ও ক্যারিশম্যাটিক বক্তা। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘকেই ‘অন্ধকারের ঘর’ বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। বলেছিলেন, এই ইহুদিবিদ্বেষী পিত্তে ভরা জলাভূমিতে অধিকাংশই ইহুদি রাষ্ট্রের প্রতি অমানবিক। গত দশকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অনেক প্রস্তাব পাস হয়েছে। সবই ভণ্ডামি, দ্বিমুখী নীতি ও রসিকতা। নেতানিয়াহু প্রশ্ন তুলেছিলেন, আপনারা কাকে বেছে নেবেন? ইজরায়েল? 
গণতন্ত্র ও শান্তির পাশে দাঁড়াবেন নাকি ইরানের সঙ্গে? নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিবাদে অনেক বিশ্বনেতা সেদিন সাধারণ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন। কিন্তু তাতে ইজরায়েলের কিছু যায় আসেনি!
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদকে বলা হয় বিশ্বের আইন পরিষদ। বিশ্বের সব দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এখানে প্রায় সব আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। আর এই সংস্থার বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনকে এখন অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলেন ‘টকিং শপ’। অধিবেশনের প্রথম এক-দুই দিন সবাই কান পেতে থাকেন। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা চীনা রাষ্ট্রপ্রধান সেই সময় ভাষণ দেন। সবাই তাঁদের কথা শুনতে, নিদেনপক্ষে সাংবাদিক হিসেবে ‘কভার’ করতে আগ্রহী। দিন যত যায়, আগ্রহ তত কমে। শেষের দিকে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে এমন রাজকীয় যে সাধারণ পরিষদকক্ষ, তাতে কথা শোনার লোক থাকে হাতে গোনা কয়েকজন। তা-ও অধিকাংশই যার যার নিজের দেশের নেতার ভাষণ শোনার জন্য। যেই সেই নেতার ভাষণ শেষ, তাঁর সমর্থকরাও এক এক করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান। নামেই বিশ্বসভা, আসলে রাষ্ট্রপ্রধানরা সবাই যাঁর যাঁর নিজের দেশের, নিজেদের সাফল্যের গান শুনিয়ে যান। বাকিরা কেন শুনবে সেসব কথা? আসলে এটাই রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনের প্রকৃত চিত্র। এখানে কোনও দেশের সমস্যা সমাধানে কেউ চিন্তিত নন। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ বিতর্ক ব্যাপারটা কতটা খেলো হয়ে উঠেছে, তার এক উদাহরণ দিয়েছিলেন ইয়ান উইলিয়ামস। যিনি একসময় রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছিলেন, বেশ কয়েক বছর আগে, এক বক্তা তাঁর প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ দিয়ে বললেন, পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক প্রশাসনের জাঁতাকলে দেশটির মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে। সে কথা শুনে সবাই তো অবাক। কারণ, যে দেশটির কথা বলা হচ্ছে সেটি এক বছর আগেই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পরে জানা গেল, বক্তা এক বছর আগে দেওয়া ভাষণের কপি ভুল করে আবার পড়ে শোনাচ্ছেন। সম্ভবত তিনি নিজেই সেই ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে ভুলে গিয়েছিলেন।
অথচ, ১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন আশা করা হয়েছিল এই বিশ্ব সংস্থাটি দুনিয়া থেকে যুদ্ধ, অনুন্নয়ন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঠেকাবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যে দেশগুলি জার্মানি ও তার মিত্রদের পরাস্ত করে তারাই এই সংস্থা গঠনের আসল চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে নিয়ে আশা ও উৎসাহের সেটাই আসল কারণ। কিন্তু খুব বেশি দিন লাগেনি দেশগুলির বন্ধুত্বে চিড় ধরতে। শুরু হয়ে গিয়েছিল পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। যারা যুদ্ধ ঠেকাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, দেখা গেল তারাই যুদ্ধ বাধাতে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। বিশ্বকে এক করার বদলে তাকে বিভক্ত করে যার যার প্রভাব বলয়ে আনাই তাদের আসল লক্ষ্য। এরপর ৭৯টি বছর কেটে গিয়েছে। অবস্থা বদলায়নি, বরং বহুগুণে অবনতি ঘটেছে। একটা বিষয় লক্ষ্য করুন, পাঁচটি দেশকে তাদের সার্বিক গুরুত্বের কারণে এই সংস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ‘ভেটো’ প্রদানের অধিকার দেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, বহু অধিবেশনে সেই পাঁচ দেশের অনেকেই অনুপস্থিত থাকেন। গত বছর, ২০২৩ সালের কথাই ভাবুন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচজনের একজন অনুপস্থিত ছিলেন। কারণ, তখন তিনি প্রতিবেশী এক দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ব্যস্ত। আরও এক প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির কারণ, এক রাজা তাঁর দেশে সফরে আসবেন, তাঁর দেখভাল করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি—যিনি মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই নিজের দেশে সাড়ম্বরে জি ২০–এর শীর্ষ বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছিলেন— তিনিও অধিবেশনে থাকতে পারেননি। দুই দিনের বৈঠক করে তিনি হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন! বিশ্বনেতাদের জন্য কোনটা অগ্রাধিকার, এ থেকেই বোঝা যায়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে, সে কথা স্বয়ং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস স্বীকার করেছেন। শান্তিরক্ষার বাইরে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ জলবায়ু–সংকটের মোকাবিলা। আর মাত্র ১০ বছরের মধ্যে যদি ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা কমিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তাহলে বিশ্ব ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে। এ জন্য একদিকে প্রয়োজন জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন সূর্য বা বাতাসের ব্যবহার বাড়ানো। অথচ যাঁরা এই বিশ্বের হর্তাকর্তা, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি গ্যাস-তেলের কারবারি। ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এক ভাষণে গুতেইরেস বলেছিলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বদলে আমরা বিশ্বকে খণ্ডবিখণ্ড করে ফেলছি। লক্ষ্য অর্জনের বদলে আমরা একে–অন্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে সংস্থাটি তার চালিকাশক্তি হারিয়ে ফেলছে।’ মহাসচিব তাঁর স্বভাবজাত কূটনৈতিক ভাষা ত্যাগ করে সেই ভাষণে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘আমাদের বিভক্তি বাড়ছে, অসাম্য বাড়ছে, লক্ষ্যপূরণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। বড় বিপদে পড়ে গিয়েছি আমরা।’
কোনও সন্দেহ নেই, এই বিপদের কারণ বিশ্বের বড় রাষ্ট্রগুলি নিজেরাই তৈরি করেছে। ২০২২ সালে প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণের মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্যতম স্থপতি রাশিয়া নিজেরাই সংস্থাটির প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদের একটি প্রধান প্রতিশ্রুতিই— কোনও দেশ, তা সে ছোট বা বড় যা–ই হোক, কোনও অবস্থাতেই অন্য কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়, এমন কাজ করবে না। রাশিয়া ঠিক সেই কাজটি করেছে। রাশিয়া রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রতিশ্রুত পথে এগয়নি। শুধু তা–ই নয়, অসামরিক জনগণের উপর যে নির্বিচার বোমাবাজি রাশিয়া করে চলেছে, তাকে বলা হচ্ছে ‘জেনোসাইড’। স্বয়ং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধাপরাধের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘভুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুধু রাশিয়া নয়, রাষ্ট্রসঙ্ঘভুক্ত অধিকাংশ বৃহৎ রাষ্ট্র বেশিরভাগ দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সমস্যার মোকাবিলায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ না হয়ে নিজের পছন্দমতো রাস্তা খুঁজে নিচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে এখন নখদন্তহীন একটি পোষ্য মাত্র, তার এক বড় কারণ, এই সংস্থাটিকে এড়িয়ে বিশ্বের দেশগুলি যে যার মতো ছোট ছোট জোট গঠন করে নিয়েছে। বিশ্বের তিন মোড়ল আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া— তাদের নেতৃত্বে নানা জোট গড়ে তুলেছে। যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ গঠিত হয়েছিল, অর্থাৎ সব রকমের আন্তর্জাতিক প্রশ্নে সমন্বিত কাজ— তা অনুসরণের বদলে এখন বড় বড় দেশ যে যার মতো নিজেদের প্রভাবাধীন জোট গড়ে সেখানেই বিচারসভা বসাচ্ছে। জি ৭, জি ২০ বা ব্রিকস— এসবই এক অর্থে ছোট ছোট রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে ক্রমেই তার প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে, তার এক বড় কারণ এই সংস্থা বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে বদলাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের দিকে তাকান। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পরিষদের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। যে পাঁচটি দেশ সেই ১৯৪৫ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো অধিকার নিয়ে বসে আছে, তার তিনটিই ইউরোপের। ফ্রান্স বা ব্রিটেন একসময় বিশ্বশক্তি ছিল, এখন তারা নিজেদের অতীতের ছায়ামাত্র। তাহলে কী হবে? বাস্তবতা মেনে সরে দাঁড়াতে বললে তারা কখনই রাজি হবে না। আফ্রিকা মহাদেশ বা আরব দেশগুলি থেকে এই পরিষদে কোনও স্থায়ী সদস্য নেই। তৃতীয় বিশ্ব থেকে চীন আছে বটে, কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে বৃহত্তম ভারত তেমন সুযোগ থেকে বঞ্চিত। লাতিন আমেরিকার কোনও দেশেরও সেখানে পা রাখার স্থায়ী কোনও জায়গা নেই। গত সাত দশকে বিশ্ব বদলেছে, কিন্তু বিশ্ব সংস্থা বদলায়নি। সবাই এ কথা মানেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘকে ঢেলে সাজাতে হবে, কিন্তু ঢেলে সাজাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সম্মতি। সেই সম্মতিও আসবে না, অচলাবস্থারও নিরসন হবে না।
এরপরও রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে যদি কারও মনে কোনও দ্বিধা থাকে, দয়া করে গাজা, লেবাননের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া অনাথ শিশুদের অথবা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মার্কিন ছাত্রছাত্রীকে প্রশ্ন করুন। সঠিক উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন। আসলে ৭৯ বছর ধরে গোটা দুনিয়া জেনে গিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’!
24th  October, 2024
সুপ্রিম কোর্ট এবং একটি আশ্চর্য অধ্যায়
সমৃদ্ধ দত্ত

১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হবেন। ১০ নভেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অবসর নেবেন। আপাতভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং রুটিন একটি প্রক্রিয়া। বিশদ

শ্রীরামকৃষ্ণের কালী-দর্শন
মৃণালকান্তি দাস

‘আমার কালী-মা কোথায় গেলে গো’— শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর শিশুর মতো কেঁদে উঠেছিলেন মা সারদামণি। কালী আর রামকৃষ্ণ তাঁর কাছে যে অভিন্ন। ইষ্ট আর ভক্ত এক। সন্তানের বশীভূত জননী। মায়ের সঙ্গে কখনও মান-অভিমানের পালা। কখনও বা নিঃশেষ আত্ম-সমর্পণের শান্ত মুহূর্ত।
বিশদ

31st  October, 2024
অজ্ঞানতার আঁধার পেরিয়ে আলোর উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

সভ্যতার একেবারে আদিযুগ থেকে মানুষ ক্রমেই উত্তরণের পথে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। এই উত্তরণ আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় উৎসারণের প্রক্রিয়া। মানুষের কাছে আলো তাই একটা শক্তি, প্রতীক। জীবনে আলোর উদ্ভাস এনে সে অন্ধকারকে বা অশুভ শক্তিকে দূর করতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশদ

30th  October, 2024
টালবাহানা! সেন্সাস কিন্তু ছেলেখেলা নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মাথা নাড়লেন জওহরলাল নেহরু। ‘কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের কাছে কোনও ডেটা নেই। যে ডেভেলপমেন্টই করতে যাই না কেন, সবটাই অন্ধকারে হাতড়ানো।’ তাহলে উপায় কী? সোভিয়েতের ধাঁচে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু করতে চান প্রধানমন্ত্রী। বিশদ

29th  October, 2024
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মীমাংসা, বড়ই আবছা!
পি চিদম্বরম

মানব ইতিহাসে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব কী হবে? এই প্রশ্ন করা হয়েছিল মাও সে তুং-কে। শোনা যায়, কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে মাও বলেছিলেন, ‘এনিয়ে যা বলব তা বড়ই আগাম বলা হয়ে যাবে।’ এটি আমার একটি প্রিয় উপাখ্যান।  
বিশদ

28th  October, 2024
সিপিএমের জাত গেল, পেটও ভরল না!
হিমাংশু সিংহ

তথাকথিত একটা নাগরিক আন্দোলন বাম দিকে ঘোরাতে না পারার ব্যর্থতা কুরে কুরে খাচ্ছে। তা নিয়েই ‘ফেসবুকের দল’ সিপিএমের অন্দরে এখন হতাশার ঝড়। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে নিয়ে বিশ্বজোড়া বাংলা বিরোধী কুৎসা, আর চক্রান্ত করেই ওরা ভেবেছিল খেলা বুঝি শেষ। বিশদ

27th  October, 2024
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারল না সিপিএম
তন্ময় মল্লিক

সিপিআই(এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বঙ্গ সিপিএম বুঝিয়ে দিল, ক্রাচ ছাড়া তারা চলতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করার আশায় ২০১৬ সালে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। ২০২১ সালে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য হাত মিলিয়েছিল ‘মৌলবাদী’ আইএসএফের সঙ্গে। বিশদ

26th  October, 2024
‘জাস্টিস’ আন্দোলন দিশা হারাল কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

কলকাতা পুলিস খারাপ। রাজ্য সরকার খারাপ। সিবিআই খারাপ। সুপ্রিম কোর্ট খারাপ। মিডিয়া খারাপ। শুধু আমরা ভালো। আমাদের যাঁরাই বিরোধিতা করে কিংবা যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন করে, তাঁরাই যেন অশিক্ষিত এবং ধর্ষকের সমর্থক। আমাদের ভিন্ন মত যারা প্রকাশ করে, তারা অ্যাভারেজ বুদ্ধির। বিশদ

25th  October, 2024
‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
একনজরে
সোনার দাম একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু সোনা কেনার প্রতি আগ্রহ একেবারেই কমেনি। ধনতেরসে মালদহ জেলার সবস্তরের মানুষ সাধ্যমতো সোনা কিনেছেন। ধনতেরস উপলক্ষ্যে মালদহ জেলাজুড়ে ২০০ ...

একদিকে পুজো দেওয়ার, অন্যদিকে পুজো দেখার ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়াতেই জনকোলাহল আছড়ে পড়ল হুগলির বিভিন্ন জনপদের মন্দিরে, মণ্ডপে। আলোকমালায় সুসজ্জিত রাজপথে ছিল থইথই ভিড়। রাত ...

মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আক্রান্তরাও একত্রিত হতে শুরু করেছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ইসকনের অন্যতম সংগঠক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ঘিরে। ...

চমকে ভরা আইপিএলের রিটেনশন তালিকা। গত মরশুমের অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে রাখল না দিল্লি ক্যাপিটালস। চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও ছেড়ে দিল অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে। আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, নিলামেই ভাগ্য ঠিক হবে লোকেশ রাহুলের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ভেগান দিবস
১৫১২: সিস্টিন চ্যাপেল এর ছাদের চিত্রাঙ্কন যা মাইকেলেঞ্জেলো এঁকেছেন, জনগনের জন্য প্রথমবারের মত উম্মুক্ত করে দেয়া হয়
১৬০৪: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এর ট্রাজেডী ওথেলো প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৬১১: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রোম্যান্টিক কমেডি টেমপেস্ট প্রথমবার মঞ্চস্থ হয় লন্ডনের হোয়াইটহল প্যালেসে
১৮০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস হলেন দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি দি এক্সিকিউটিভ ম্যানসন এ থাকা শুরু করেন (পরবর্তীকালে যার নাম হয় হোয়াইট হাউস)
১৮৫৮: ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে
১৮৬৪: পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রথম মানি অর্ডার পদ্ধতি চালু
১৮৭৩: নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যু
১৮৮০: কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চলাচল শুরু
১৯১৫: বাংলা ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯৫০: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫০: নোবেল জয়ী পদার্থবিদ রবার্ট লাফলিনের জন্ম
১৯৫৬: বাংলা ভাষা আন্দোলন (মানভূম) এর ফলস্বরূপ মানভূমের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের সাথে যুক্ত হয় পুরুলিয়া জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে
১৯৫৬: ভারতে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ মোতাবেক মহীশূর রাজ্য বর্তমানে কর্নাটক, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আত্মপ্রকাশ ও পুনর্গঠন হয়
১৯৭৩: মহীশূর রা্জ্যের নাম বদলে কর্ণাটক হয়
১৯৭৩: অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্ম
১৯৭৪: ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬১ টাকা ৮৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৫২ টাকা ১১০.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৯৯ টাকা ৯২.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ৩১/২০ রাত্রি ৬/১৭। স্বাতী নক্ষত্র ৫৪/২৫ রাত্রি ৩/৩১। সূর্যোদয় ৫/৪৪/৫০, সূর্যাস্ত ৪/৫৫/৪০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২৯ মধ্যে পুনঃ ৭/১৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৭ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৮ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
১৫ কার্তিক, ১৪৩১, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা সন্ধ্যা ৫/৯। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ৩/২৬। সূর্যোদয় ৫/৪৬, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
২৮ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রয়াত জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার রোহিত বল

11:39:32 PM

মুম্বইয়ের গোরেগাঁওতে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন

10:47:00 PM

হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি

10:25:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সাদাতগঞ্জে একটি কারখানায় আগুন, অকুস্থলে দমকল

10:08:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের মারগানা জঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

09:48:00 PM

দিল্লির রঘুবারপুরায় একটি আবাসনে আগুন, অকুস্থলে দমকল

09:32:00 PM